সংবাদদাতা :
কক্সবাজারের মহেশখালী উপকূলে জলদস্যু ও টেকনাফের ইয়াবা কারবারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপকূলের শান্তির অগ্রদূত হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন বেসরকারী স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের সাংবাদিক এম এম আকরাম হোসাইন।
শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১ টার সময় পেকুয়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের আয়োজিত মহেশখালীতে জলদস্যু ও টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্নসমর্পণের মধ্যস্থকারী চ্যানেল-টুয়েন্টিফোরের সাংবাদিক আকরাম হোসাইনকে সংবর্ধনা ও মফস্বলের বর্ষসেরা বিভিন্ন সংবাদকর্মিসহ ও স্থানীয় গুনীজনদের সংর্বধনা দেয়া হয়েছে। পেকুয়া উপজেলা পরিষদ মিলণায়তনে উক্ত সংর্বধনা অনুষ্টান অনুষ্টিত হয়।
পেকুয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম দিদারুল করিম সভাপতিত্বে প্রথম আলো পত্রিকার চকরিয়া – পেকুয়া প্রতিনিধি এস এম হানিফ এর সঞ্চালনায় দৈনিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ ড. মোঃ সানা উল্লাহ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এডভোকেট কামাল হোসেন, পেকুয়া সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি আযম খাঁন, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম।
পেকুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ছফওয়ানুল করিম, পেকুয়া উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এইচ এম নুরুল আবছার, প্রমূখ।
উপস্থিত ছিলেন সিপ্লাস টিভির সাংবাদিক এফ এফ সমুন,বিজয় টিভির সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন,সাংবাদিক রেজাউল করিম,সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হিরু, সাংবাদিক রেজাউল টু, সংবাদকর্মী সাজ্জাদ। পেকুয়া উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইনসহ স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বিপুল সংখ্যাক সুশিল সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বলেন, আজকের এ সংর্বধনা অনুষ্ঠান অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। আর সাংবাদিক আকরাম হোসাইন আগামী প্রজন্মের প্রেরণা হিসেবে প্রদীপ জ্বালাবে উপকূলে। তিনি উপকূলের জলদস্যু ও বাঘা বাঘা ইয়াবা কারবারীদের আত্মসমর্পণের ঘটনা ঘটিয়ে যে নজির সৃষ্টি করেছে তা ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত অতিথি চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের সাংবাদিক আকরাম হোসাইন। এসময় উক্ত অনুষ্টানে আকরাম হোসাইনকে সংবর্ধনায় উপকূলের শান্তির দূর্ত হিসেবে এ স্বাকৃতি দেয়া হয়। আকরাম হোসাইন গত ২১ অক্টোবর দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর অস্ত্রের কারখানা ও জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করিয়ে দেশব্যাপি আলোচিত হন। এর ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি টেকনাফে ১০২ জন ইয়াবাকারবারীদের আত্মমর্পন করিয়ে দেশ জুড়ে তকমা লাগিয়ে দেন। আত্মসমর্পণকারী মহেশখালী ভিত্তিক ছয়টি বাহিনীর মধ্যে ৪৩ জন সদস্যের মধ্যে ৫ বাহিনীর ৩৭ জনই মধ্যস্থতা করেন তিনি নিজেই।
সাহসি এই সাংবাদিকের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের জেলার পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া। তিনি চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের দেড় বছর ধরে কাজ করছেন। এর আগে বিজয় টিভিতে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দুই বছর সুনামের সহিত কাজ করেন। সাংবাদিক আকরাম হোসেন চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন সমাপ্ত করেন ২০১৩ সালে। সাংবাদিকতা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারী এই সাংবাদিক পেশাগত জীবনে সাড়ে ৩ বছর হলেও কর্ম ও মেধা দিয়ে অনেক দূর এগিয়েছেন।
উক্ত অনুষ্টানে মফস্বলের বর্ষসেরা বিভিন্ন সংবাদকর্মিসহ ও স্থানীয় গুনীজনদের সম্মাননা দেওয়া হয়।
মফস্বল সংবাদকর্মীদের মাঝে বর্ষসেরা প্রতিনিধি হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট পেয়েছেন চকরিয়া-পেকুয়া প্রথম আলোর সাংবাদিক এস এম হানিফ, বিজয় টিভি ও দৈনিক পূর্বকোণের মহেশখালী প্রতিনিধি হোবাইব সজীব। গুনিজন ব্যক্তিদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট পেয়েছেন পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, মেরনসান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড.মোঃ সানাউল্লাহ,পেকুয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম দিদারুল করিমসহ মোট ৮ জন গুণিজনদের এ সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ক্রেষ্ট প্রদান করেন অনুষ্টানের অতিথিবৃন্দ। চকরিয়া-পেকুয়া জনদুর্ভোগের সচিত্র প্রতিবেদন করে জনগনের মধ্যমনিতে পরিনত হয় প্রথম আলোর সাংবাদিক এস এফ হানিফ। তাকে বর্ষসেরা প্রতিনিধি হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়া  সাংবাদিক হোবাইব সজীব মহেশখালীর পাহাড়ে অবস্থিত কয়েকটি অস্ত্রের কারখানা নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন করলে ব্যাপক আলোচিত হয় ।