বিদ্যুত সংযোগ না পাওয়া ক্ষুব্ধ মানুষগুলোর কয়েকজন।

সংবাদদাতা:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল ও উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে যে বিশাল উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তারমধ্যে শতভাগ বিদ্যুৎ সেবা ও একটি। অন্যান্য উপজেলার মত টেকনাফ উপজেলাকেও শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ঠিকই কাগজে কলমে এবং রিপোর্টে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করেছে টেকনাফ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। অথচ সরেজমিনে তদন্ত করলে প্রমাণিত হবে হাজার হাজার পরিবার বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেও সাড়া শব্দ নেই।
বাহার ছড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের জাহাজ পুরা গ্রামের বাসিন্দা ও জাতীয় শ্রমিক লীগ টেকনাফ বাহার ছড়া ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ তৃণমূল পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা জনগণের দোর গোড়ায় জানিয়ে দিচ্ছি। অতিশয় দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত টেকনাফ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ব্যবস্থাকে পাত্তা না দিয়ে ভুয়া রিপোর্ট করে আমারা বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। প্রাকৃতিক দিক দিয়ে আমাদের গ্রামটি অতি সুন্দর। বঙ্গোপসাগরের কুলঘেষেঁ পাহাড় আর সমুদ্রতীর জুড়ে এই গ্রামে বিদ্যুৎ না পাওয়াতে অন্ধকারকে পুঁজি করে প্রতিদিন রাতে সংঘটিত হয় চুরি ডাকাতি সহ যাবতীয় অনৈতিক কার্যক্রম যা মোটেও কাম্য নয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করলে আরো শোচনীয় অবস্থা। একই মন্তব্য করেছেন অত্র ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের হলবনিয়া গ্রামের শামছুল আলম, আবুল কালাম, মনজুর আলম, জাফর আলম, নুরুল ইসলাম, ৬ নং ওয়ার্ডের জাহাজপুরা গ্রামের করিম উল্লাহ, রহিম উদ্দিন, আব্দুল মাবুদ, নুরুল আমিন, তাজ উদ্দিনসহ অর্ধশতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা। মিথ্যা প্রতিবেদনের কারণে বিদ্যুত বিভাগের উপর তাদের চরম ক্ষোভ।
সাবরাং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের কাটাবনিয়া গ্রামের আব্দুল গফুর বলেন, আমরা শুনছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনাফ উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা করেছেন। কয়? এর প্রতিফলন তো নেই।
তিনি বলেন, টেকনাফ পল্লী বিদ্যুতের অফিসে খুঁটি ও মিটারের জন্য গেলে বিশাল অংকের টাকা দাবি করে। আমরা দরিদ্র পরিবারের বাসিন্দা। টাকা দিয়ে আমাদের খুঁটি কেনা সম্ভব নয়।
একই মন্তব্য করেছেন ওই গ্রামের রহিমা খাতুন, আব্দুল্লাহ, আব্দুর রহমান, আলি হোছন, মমতাজ মিয়া ও মোহাম্মদ উল্লাহসহ অসংখ্য ভুক্তভোগি মানুষ।
অন্যদিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন, সদর ইউনিয়ন ও হ্নীলা ইউনিয়নের দিকে তাকালে দেখা যায় বিদ্যুৎ বঞ্চিত পরিবারের আহাজারি।
সাধারন জনগণের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণাকে যারা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেয়নি এবং শতভাগ বাস্তবায়নের জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করেননি- তাদেরকে চিহ্নিত করে কারণ দর্শানো ও জবাবদিহি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে সেখানকার বাসিন্দারা।