সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ
আলকুরআন হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। যারা কুরআন শিখেন এবং শিক্ষাদান করেন তারাই সমাজের শ্রেষ্ঠ মানুষ। কুরআন মুখস্থ করা একটি কঠিন কাজ। ছোট বাচ্চারা কুরআন মুখস্থ করে একটি কঠিন কাজকে সহজ করছে। এটি কুরআনের একটি বড় মোজেজা।
১০ এপ্রিল বিকালে কক্সবাজার দারুল আরক্বম তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসার নতুন ক্যাম্পাস কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন কক্স স্কয়ার-১ উদ্বোধনে এসব কথা বলেন কক্সবাজার পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, মানুষের সমাজে শান্তি সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় আল-কুরআনের শিক্ষা মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য পৌর মেয়র বলেন, কুরআন বুকে ধারণ করে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয় যে কান জায়গায় পড়ালেখা করে তোমরা সমাজ উন্নয়নে সম্পৃক্ত হতে পারবে।
অনুষ্ঠানে মেয়র মজিবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন।
নতুন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সবক প্রদান করেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্বারী মোঃ ইলিয়াস লাহোরী।
দারুল আরক্বমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুস ফরাজির সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, দৈনিক ইনকিলাবের কক্সবাজার ব্যুরো চীফ ও বিশেষ সংবাদদাতা শামসুল হক শারেক, হাফেজ ক্বারী মাওলানা সাইফুল্লাহ কাসেমী,
হাফেজ ডাক্তার মাওলানা মোঃ ফায়সাল,
হাফেজ মাওলানা এডভোকেট রিদওয়ানুল কাবির, কক্স স্কয়ার-১ এর স্বত্বাধিকারী নুরুল হক নুর, মাওলানা নুরুল মোস্তফা ও মাওলানা নুরুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে দারুল আরক্বমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুস ফরাজি।
তিনি বলেন, তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসা অল্প দিনের মধ্যে ভালো ফলাফলের মাধ্যমে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আগামীতে এ প্রতিষ্ঠানটির জেলার সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রুপান্তর হবে, ইনশাল্লাহ।
ইউনুস ফরাজি বলেন, দারুল আরক্বমের শিক্ষার্থীরা স্থানীয় ও বিভিন্ন জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হচ্ছে। কক্সবাজারবাসীর সুনাম বয়ে আনছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে সবার দোয়া চাই।
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্বারী মোঃ ইলিয়াস লাহোরী কুরআনের সুরায়ে মুজ্জাম্মেল থেকে মাশক করে শুনান।
দারুল আরক্বম তাহাফিজুল কুরআন মাদরাসার পক্ষ থেকে মেয়র মুজিবুর রহমান ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্বারী মোঃ ইলিয়াস লাহোরীকে ক্রেষ্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
আগামী ৩০ এপ্রিল তাহফিজুল কুরআন মাদরাসা থেকে (৪ কিশোরীসহ) ১০ জন হাফেজে কুরআনকে দস্তারে ফজিলত প্রদান করা হবে।