মুহাম্মদ শাহ জাহান, ইউএইঃ

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৮ বছরের বালক মিরাজ বাংলাদেশে মা বাবা’কে না জানিয়ে আমিরাত ত্যাগ করে।
আজমানের স্হানীয় একটি স্কুলে এস,এস,সি পরিক্ষার্থী ছিল উক্ত বালক। দেশের বাড়ী ঢাকা নারায়ণগঞ্জে। মা বাবার খুব আদরের সন্তান ছিল মোহাম্মদ মিরাজ। মাত্র ২ বছর আগেও ছেলেকে নিয়ে দেশের বাড়ী গিয়েছিল। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে মিরাজ ছিল তৃতীয় তম সন্তান।বাবা দেলোয়ার হোসেন ছোট খাটো ব্যবসা করেন আজমানে, মিরাজের বড় ভাই ইমরান হোসেন ও মেঝ ভাই শাহাদাৎ হোসেন সাদ্দাম বাবার সাথে ব্যবসায় সহযোগিতা করেন । মোঃ মিরাজের মা জানায় তার ছেলে খুব শান্ত স্বভাব’এর ছিল, এমনকি কোন সময় কারো সাথে ঝগড়া বিবাদেও লিপ্ত হয় নি এবং আমি তাকে খুবই ভালবাসতাম কারণ ছেলেদের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট ও সবার আদরের। মিরাজের ছোট ছিল শুধুমাত্র মিরাজের বোন, বাকিরা সবাই মিরাজের বড়।

গত ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর পবিত্র উমরাহ্ পালনের উদ্দ্যেশ্যে সৌদি আরব গেলে ২৯ ডিসেম্বর উমরাহ্ পালন শেষে আমিরাত প্রবেশ করে। সবকিছুই চলছিল স্বাভাবিক কিন্তু জানুয়ারী মাসের ১৩ তারিখ দুবাই থেকে সালামা ফ্লাইটে করে ওমানের মাসকেট এবং সেখান থেকে বাংলাদেশের ঢাকা এয়ারপোর্ট হয়ে বাংলাদেশে গিয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ মিরাজের মেঝ ভাই শাহাদাৎ হোসাইন সাদ্দাম। তিনি বলেন দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে তিনি এই তথ্য জানতে পারেন। তবে এর পূর্বে মিরাজের পরিবারের সদস্যরা আজমান পুলিশ স্টেশনে জিডি (জি.ডি নং ১৭৫৫৯) এরপর পুলিশ জানায় এই ব্যাপারে একমাত্র সি আইডি চাইলে হয়তবা সাহায্য করতে পারবে। তারপর সিআইডির সরণাপন্ন হলে সি আইডি তথ্য দেয় যে মিরাজ এখন ওমান হয়ে বাংলাদেশে গেছে তাই চাইলেও তারা কিছুই করতে পারবেন না। শাহাদাৎ হোসাইন সাদ্দাম দুবাই এয়ারপোর্ট থেকে তথ্য নিতে গিয়ে দেখে সত্যিই মিরাজ ওমানের মাসকেট এয়ারপোর্ট হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তাই সাথে সাথে বাংলাদেশে তারা তাদের আত্বীয় সজ্বনদের এই ব্যাপারে অবহিত করেন,এর মধ্যে মিরাজকে দু-একবার ফেসবুক অনলাইনেও দেখা যায় বলে জানায় মিরাজের পরিবার কিন্তু বিভিন্ন আইডি থেকে মেসেজ দিয়ে ফিরে আসার জন্যে বলা হলেও মিরাজের কাছ থেকে কোন উত্তর পাওয়া যায় নি, প্রথম প্রথম মেসেজ গুলো মিরাজের আইডি থেকে দেখা হলেও এখন আর মিরাজের আইডি এ্যকটিভ পাওয়া যাচ্ছে না। এরমধ্যে ঢাকা শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে একটি জিডিও(জিডি নং ১১৯২) করা হয় এবং সাথে সাথে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্্যাব অফিসেও জানানো হয় বলে জানায় মিরাজের বাবা-মা কিন্ত এতেও কোন ফল আসেনি বলে জানান তারা। বর্তমানে মিরাজের বড় ভাই দেশে রয়েছেন বলে জানা যায়।
মিরাজ আমিরাতে থাকা অবস্হায় চট্টগ্রামের মানুষের সাথেই তার খুব বেশী বন্ধুত্ব ও ছিল তাই তার বাবা মা সন্দেহো করছেন হয়ত চট্টগ্রামের কোথাও থাকতে পারে তবে কোথায় এবং কার কাছে থাকতে পারে এ বিষয়ে ওনারা কিছুই জানাতে পারছেন না। মিরাজের বাবা মা এর শুধু এখন একটায় আশা শুধু তাদের ছেলেকে যেন তারা ফিরে পায়।সকল প্রকার চেষ্টার পরেও হাল চাড়েনি মিরাজের বাবা -মা,ভাই-বোন সহ আত্বীয় সজন’রা। সারাদিন বাবা মায়ের চোঁখ যেন শুধু তাদের হারিয়ে যাওয়া ছেলেকেই খুঁজে। মিরাজের বাবা সারাদিন অপেক্ষা করেন হয়তবা কোন এক সময় ছেলে মিরাজের কাছ থেকে কল পেয়ে বেজে উঠবে তার ফোন টি সেই আশায়। তারা জানান এখন একমাত্র আশা বাংলাদেশ সরকার এছাড়া আর কোন পথ তারা দেখছেন না, তাই তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন তিনি যেন এই বিষয়ে অবশ্যই কোন সহযোগীতা করেন।