আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:

কাপ্তাই হ্রদে চলাচলরত অবৈধ ¯প্রীড বোট ও স্টাফ বোট বন্ধের দাবীতে আজ সকাল থেকে রাঙামাটির নৌ রুটে ধর্মঘট পালন করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা। ধর্মঘটের ফলে আটকা পড়েছে রাঙামাটির উপজেলা গুলোতে যাওয়া শত শত যাত্রী। পাহাড়ের চলমান বৈসাবী উৎসবের সময় কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়া আকষ্মিক ধর্মঘটে দুর দুরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা রাঙামাটি রিজার্ভ বাজার লঞ্চ ঘাটে জড়ো হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা রাঙামাটি জোনের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তারা কাপ্তাই হ্রদে চলাচলরত অবৈধ স্পীড বোট ও স্টাফ বোট বন্ধের প্রশাসনের কোন সহযোগিতা না পাওয়ায় এই কর্মসূচীর ডাক দিয়েছে বলে জানিয়েছেন।

উল্লেখ, কাপ্তাই হ্রদ বেষ্টিত রাঙামাটি জেলা। এই হ্রদের লঞ্চ, বোট যোগে জেলার ৬টি উপজেলায় যাতায়াত করে যাত্রীরা। আকষ্মিক ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছে শত শত যাত্রী।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, এটা সম্পূর্ন মিথ্যা-বানোয়াট এবং বেআইনি অভিযোগ জনাব সেলিমের। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিজের গুরুত্বর অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে সেখানে অবস্থান করছেন জানিয়ে জেলা প্রশাসক প্রতিবেদককে বলেন, আমি এই বিষয়টি নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছি। সর্বশেষ গত এক সপ্তাহ আগেও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, বৈঠকে নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ এবং ডিজি শিপিংয়ের প্রতিনিধিও অংশগ্রহণ করেছিলেন। এসময় উভয় পক্ষই সমঝোতায় পৌছেছিলো। এর পরবর্তী আমি আবারো জনাব মঈন উদ্দিন সেলিম সাহেবকে ডেকে আগামী পহেলা বৈশাখ ও বিজু অনুষ্ঠানের কথা বিবেচনায় নিয়ে আপাতত শান্ত থাকার জন্যে অনুরোধও করেছিলাম। কিন্তু তিনি বিষয়টি সম্পূর্ন অগ্রাহ্য করে এমন একটি অভিযোগ জানালেন যাহা এক্কেবারেই মিথ্যাচার।

জেলা প্রশাসক জানান, আমি এ পর্যন্ত সকল প্রকার সার্বিক সহযোগিতা করে এসেছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অকাঙ্খিত কর্মসূচীর ডাক দিয়ে সেলিম যদি মনে করেন, রাঙামাটির প্রশাসন তার কথামতো চলতে হবে তাহলেতো বিষয়টি তেমনভাবে হয় না।

জেলা প্রশাসক বলেন, দেশের মানুষের আয় বেড়েছে বিধায়, নাগরিকদের পকেটে টাকা আছে, সেক্ষেত্রে তাদের চলাচলসহ জীবন যাত্রার ব্যয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। সেক্ষেত্রে নাগরিকরা যদি টাকা খরচের বিনিময়ে তাদের সময় বাঁচাতে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে কেউ কি বাধা দিয়ে রাখতে পারবে? এমন প্রশ্ন করে জেলা প্রশাসক বলেন, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার বদ্ধ পরিকর। সুতরাং আইন তার নিজস্বগতিতে চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।