প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

৫ম মহেশখালী আন্তর্জাতিক লেখক উৎসব ও বইমেলা সম্পন্ন হয়েছে। ৫ ও ৬ই এপ্রিল দুইদিন ব্যাপী লেখক উৎসব ও বইমেলার দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন শনিবার ৬ই এপ্রিল সকাল ১১টার সময় মহেশখালির পুরাতন আদালত চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি প্রতিবুদ্ধিজীবী ম্যাগাজিনের সম্পাদক সমাজবিজ্ঞানী সাদাত উল্লাহ খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত লেখক উৎসব ও বইমেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো: আবদুল মান্নান,উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার পাশা চৌধুরী।

বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের নব- নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো: শরীফ বাদশা,উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো: জামিরুল ইসলাম, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব কাউছার চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুছালেহ সেকেন্দার, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো: জহির উদ্দিন, সাতকানিয়া মহিলা কলেজের অধ্যাপক মুহাম্মদ রহুল আমিন, ছাত্র প্রতিনিধি-সৌরভ আজাদ, সাংবাদিক আবুল বশর পারভেজ,উপস্থিত ছিলেন তরুন শিল্পপতি মার্শাল পাভেল, সাংবাদিক হারুনর রশিদ, সাইফুল ইসলাম রায়হান প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছেন সাবেক ছাত্রনেতা আব্দু ছালাম বাঙ্গালী।

প্রধান অতিথি চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো: আবদুল মান্নান বক্তব্য প্রদান কালে বলেন – সারা পৃথিবীতে কক্সবাজার ও মহেশখালীকে না চিনলেও মাতারবাড়ীকে চিনে। সরকারের এযাবৎ কালের সব চেয়ে বেশি উন্নয়ন কক্সবাজার জেলায় হচ্ছে। ডিজিটাল দ্বীপ খ্যাত অবহেলিত এই মহেশখালীর মতো জায়গায় লেখক উৎসব ও বইমেলা করায় সভার সভাপতি সাদাত উল্লাহ খান ও উনার পরিবারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং নিজের লিখা ৬মিনিটের সাহিত্যগত কথামালা পড়ে শুনান।

লেখক উৎসব ও বইমেলা অনুষ্ঠানের সভাপতি সাদাত উল্লাহ খান বক্তব্য প্রদান কালে বলেন- বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ দ্বীপের জনগোষ্ঠী নানাভাবে সুবিধাবঞ্চিত। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি জ্ঞান বিকাশের জন্য নেই কোন পাবলিক লাইব্রেরি। দীর্ঘদিন ছিলনা কোন লেখক উৎসব ও বইমেলার মত কোন আয়োজন। নিজের একান্ত প্রচেষ্টায় মহেশখালি দ্বীপে গত ৫বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে লেখক উৎসব ও বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মহেশখালীর বিভিন্ন উন্নয়ন বিষয়ে গুরুতপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।