তৌহিদুল আরব:
বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া_টেকনাফ উপজেলায় প্রায় ১০লক্ষের অধিক রোহিঙ্গার বসবাস। এই ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা পাহাড় কেটে বসবাস করতে পারে তাতে পরিবেশের কোনো রকমের প্রভাব ফেলে না বা দেশের বন ভূমির কোন প্রকার ক্ষতি হয় না।দেশের সামাজিক,অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক পরিবেশ যাদের কারনে নানা রকম ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে তারা এই দেশে আরামছে পায়ের উপর পা তুলে খেয়ে খেয়ে দেশে নানা রকম অপরাধ সংঘটিত করছে,দেশের যুব সমাজের অধিকাংশ যুব ইয়াব,গাজা সহ নানা রকম মাদক আসক্ত হওয়ার পেছনে যাদের ভূমিকা সিংহভাগ আজ সেই রোহিঙ্গারা দেশে সুন্দরভাবে দিন কাটাচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশর নাগরিক হয়ে যদি পাহাড় কেটে বসবাস করে তাহলে তারা বনভূমি উজাড় করছে, পরিবেশ দূষিত করছে।  এই রকমের অজুহাত দিয়ে  সাধারন গরিব,দুঃখী মানুষের শেষ সম্পদটি উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়েছে সম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার শহরে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজার পৌরসভা সহ ৪টি পৌরসভার ৭১টি ইউনিয়নের সার্ভার ষ্টেশন দীর্ঘ ২ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয় পত্র সহ অনেক সেবা বন্ধ রয়েছে। জনগনের দুর্ভোগ চরমে। পাসপোর্ট করতে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশনে ব্যাপক হয়রানী, পুলিশকে মোটা অংকের টাকা দিলেই মিলে পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট! রোহিঙ্গাদের কারণে সার্ভার ষ্টেশান বন্ধ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় লক্ষ লক্ষ জনগন দূর্ভোগে থাকবে তা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।
রোহিঙ্গাদের কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে
আছে টেকনাফ আর উখিয়া উপজেলার মানুষ। ধংস হয়ে যাচ্ছে অত্র এলাকার চাষাবাদের জমি ,পাহাড়, বনাঞ্চল ,বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল।
উখিয়া থেকে কোর্টবাজারের যাতায়াতের রাস্তা মাত্র ১০মিনিটের। এখন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত  এনজিওর গাড়ীর জ্যামের কারণে কমপক্ষে ৪০মি-০১ঘন্টা গাড়িতে চলে যায়!
ঢাকা শহরের জ্যামও হার মানবে বর্তমানে কক্সবাজার টু টেকনাফের যাতায়াতের কাছে।
যেহেতু রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার স্থানীয় জনগণ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ, সুতরাং এনজিও কর্মীদের ওই এলাকা বা সীমারেখার মধ্যে বসবাসের আইন জারি করা হোক। কেনো না, জেলা শহরে যে হারে বাসা ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্য পণ্যের দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সবি এনজিও কর্মীদের মোটা অংকের বেতনের প্রভাব। অন্তত এ বাসা ভাড়ার টাকাগুলো তারা পেলে তৃপ্তি। তবে, এটা অপ্রত্যাশিত। জেলা শহরে শুক্রবারটা খুব আরামে জার্নি করা যেতো, এখন এনজিও কর্মীদের প্রভাবে সেটি ভিন্ন চিত্র বা রূপ ধারণ করেছে। যা কাম্য নয়। কিছু এনজিওর অফিস শুক্রবার ও শনিবার অফ থাকে, জানা মতে অধিকাংশ মহিলা অন আছে বলে বাসা থেকে বের হয়ে বিভিন্ন হোটেলে উঠে, এসবের প্রভাব কক্সবাজারে পড়ুয়া বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের উপর পড়ছে। প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে। এনজিও কর্মীদের মোটা বেতনের ঠেলায় গাড়িওয়ালা অতিরিক্ত ভাড়া নিতে বাধ্য হচ্ছে। কেনোনা, তাদেরকে ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা এনজিও কর্মীরা দেয়, এটা তাদের গায়ে লাগেনা, কেনোনা মোঠা বেতনের ঠেলা, তবে আমাদের মতো সাধারণ পাবলিকের বেশ লাগে, নিরবে সহ্য করতে হয় নানান অনিয়ম, সোচ্চার হলে প্রগতির কাতারে, নি:শ্চুপ থাকলে বেশ ভালো, তবে কি এ শহরে নামবেনা আর আলো?
মানবতা করতে গিয়ে তো নিজের দেশটাকে ধ্বংস করতে পারি না। আগে দেশ বাঁচলে পরে মানবতা করতে পারবো।
রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজার শহর তথা কক্সবাজার জেলায় উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে বর্তমানে স্থানীয় জনগণের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য ও বাসাভাড়ার হার ২০১৫ সালের চেয়ে ২০১৮ সালে শতকরা ৫০ ভাগ বেড়েছে।এ অবস্থা থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজার জেলার মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে।।
আমরা এই কষ্টের ভুক্তভোগী তাই আমরা বুঝি কষ্টটা কি?