মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) এর মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে মেধাতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর পিএসসি থেকে যোগদান পত্র পেয়ে ১১০ জন সহকারি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা যোগদান করেছিলেন স্ব স্ব কর্মস্থলে। ২০১৭ সালের ৬ জুন পিএসসি’র সুপারিশে একই সালের ১৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় এক প্রজ্ঞাপনে তাঁদেরকে নিয়োগ দিয়েছিলো। এই ১১০ জন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মধ্যে কক্সবাজারের দূর্ভাগা মিজানুর রহমান সহ ৪ জনের পুলিশ প্রতিবেদন সন্তোষজনক না আসায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রশাসন-১ শাখার উপ সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন গত ১ এপ্রিল ০০১.১১.০২৬.১৭.১৫৬ নম্বর স্মারকে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে প্রায় দেড় বছর চাকুরী করার পর তাঁদেরকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেন। চাকুরী থেকে অব্যাহতি পাওয়া মিজানুর রহমান কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের মধ্যম নাপিতখালী গ্রামের ফরিদুল আলমের পুত্র। মিজানুর রহমান বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সহকারি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি নিয়োগ পরীক্ষার মেধাক্রমে ৩৭ নম্বর অবস্থানে ছিলেন। অপর তিনজন অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন-চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগন্ঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আমিন, তাঁর মেধাক্রম হচ্ছে-১১। নারায়ণগন্ঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়া হোসেন, তাঁর মেধাক্রম-৩৬ এবং রংপর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুনার রশিদ, তাঁর মেধাক্রম-১০৭। প্রসঙ্গত, পিএসসি’র এই নিয়োগ পরীক্ষায় ১১০ টি সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পদের অনুকূলে প্রায় ১৪ হাজার পরীক্ষার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো বলে বিশ্বস্ত সুত্র জানিয়েছে। তাদের মধ্যে পুলিশ রিপোর্টের কারণে চাকুরী থেকে অব্যাহতি পাওয়া উল্লেখিত ৪ জন শিক্ষা কর্মকর্তাই মেধায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।