মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে তৃতীয় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শিশুটিকে মাটিতে নিক্ষেপ করলে তার বামপায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে পায়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ডুলাহাজারা ২নং ওয়ার্ড চাবাগান এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। সে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের নিকটবর্তী লামা উপজেলাধীন হায়দারনাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
কান্না বিজড়িত কন্ঠে শিশুটি এ প্রতিবেদককে জানান, দুপুরে স্কুল বিরতির সময় বাড়ি থেকে তার পিতার জন্য মালুমঘাট বাজারে ভাত নিয়ে যাচ্ছিল শিশুটি। তার পিতা মালুমঘাট বাজারের একজন তরিতরকারি ব্যবসায়ী। চাবাগান বিল পর্যন্ত শিশুটি পৌঁছলে ওই এলাকার আবুল হোছনের পুত্র জয়নাল আবেদিন (৪৪) প্রকাশ জইন্যা চোরা তার পথ গতিরোধ করে। এসময় মুখ চেপে ধরে শিশুটিকে নিকটস্থ নার্সারির নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু তার শোর চিৎকারে ধর্ষণে ব্যর্থ হয় এবং ক্ষোভের বশে শিশুটিকে মাটিতে সজোরে নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায় জইন্যা চোরা। এসময় শিশুটির বাম পায়ে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে পথচারীরা শিশুটির পায়ে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে।
এদিকে স্থানীয় লোকজন জানায়, জইন্যা চোরার বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে সে এরূপ আরো অনেক নিন্দনীয় ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান তারা।
এব্যপারে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শওকত আলী জানান, জইন্যা চোরা একজন পেশাদার চোর ও ছিনতাইকারী। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরো জঘন্যতম কাজে জড়িত থাকার অহরহ অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ক্লিনিক সুত্রে জানান, শিশুটির পায়ে আঘাত পেয়েছে এবং পা থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বকতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ডুলাহাজারায় এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে শিশুটিকে মারধর করে রক্তাক্ত করেছে বলে জানতে পারি। এনিয়ে অভিযোগ জমা দিয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।