এম আবুহেনা সাগর,ঈদগাঁও :

“এসো হে বৈশাখ “- বৈশাখের এই গানটি বাঙ্গালী জাতির চিরচেনা। গানটির সুর হৃদয়ে প্রাণের সঞ্চালন সৃষ্টি করে। আর কটাদিন পার হলেই ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনায় বরণ করা হবে বাঙালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। এ দিনে সাম্প্রদায়িকতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে দল মত নির্বিশেষে কাঁদে কাদ মিলিয়ে উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে মেতে থাকে। বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে হরেক রকমের কর্মসূচীর নানা আয়োজন চোখে পড়ে।সে সাথে ফ্যাশন বৈচিত্রের বৈশাখী রঙিন পোষাকের বিকিকিনি। পহেলা বৈশাখে নববর্ষের দিনটিতে উল্লাসের বৈচিত্রতা আনতে ইতিমধ্যে জেলা সদরের ঈদগাঁওর বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন,প্রতিষ্ঠান দিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করে থাকে। সে সাথে থাকছে বৈশাখের ঐতিহ্য “পান্তা ইলিশের” মুখরোচক খাবার ও দেশীয় সংস্কৃতির স্বপ্নীল অনুষ্ঠান। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো পুরাতন হিসেব নিকেশ ঝেড়ে ফেলে হালখাতা খুলতে ব্যস্তমুখর হয়ে পড়ে।

ঈদগাঁওর দুয়েক গৃহিনীর মতে, বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব নববর্ষের ছোঁয়ায় উজ্জীবিত থাকে জাতি। সবাই মিলে বরণ করি নতুন বছরকে। ইচ্ছে করে ঐ দিনে নতুন রুপে দেশ গড়ার শপথ নিই।

এক ফুল ব্যবসায়ীর মতে,প্রিয়জনকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো হয় ফুল দিয়ে। এটি হল সংস্কৃতির রীতিনীতি। ফলে প্রতি বছর নববর্ষের দিনটিতে ফুল বিক্রি হয় ভালভাবে।

নববর্ষকে কেন্দ্র করে এর মধ্যে চলছে রঙ বেরঙের পোষাকি সাজ সজ্জার হিসেব নিকেশ। তাছাড়া ঈদগাঁওর শপিংমলগুলো নতূন বছরকে ঘিরে রঙবেরঙয়ের বিভিন্ন ধরনের ফ্যাশন সম্বলিত পোষাক বেচাবিক্রি শুরু হয়েছে। বাচ্চাদের বৈশাখের পোষাকের দাম কিন্তু বেশি।

বৈশাখে সাজে নারী তার চিরায়ত রূপ লাবণ্যের সাজ সজ্জা প্রস্ফুটিত হয় শাড়ী পরার মাধ্যমে।
তাছাড়া বৈশাখী পোষাকে সাজ সজ্জা করতে এখন মার্কেটগুলোতে একটু একটু ক্রেতার ভিড় বাড়ছে বলে দোকানীরা জানান।

ঈদগাঁও বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী এড. অশোক আচার্য্যে কক্সবাজার প্রতিদিনকে জানান,প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও ১৫ই এপ্রিল তাঁর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্টানে নতুন হালখাতা উৎসব পালিত হবে বনাঢ্য পরিসরে।

ঈদগাঁও সাংস্কৃতিক একাডেমীর উপ-নিবার্হী পরিচালক কাফি আনোয়ার জানান,প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও পহেলা বৈশাখ পালনের প্রস্তুতি চলছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুর করিম জানিয়েছেন, ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের উদ্যােগে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হবে।