মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কুু, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান):
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাকে আলোকিত পাহাড়ী শহর হিসেবে গড়তে কয়েকটি গুরুপূর্ণ সড়ক চিহ্নিত করে চিরচেনা এই পাহাড়ী অঞ্চলকে এখন অনেকটাই বদলে দিতে কাজ শুরু করেছে বিপুল ভোটে সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ শফি উল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দ্বি-পাশে সারিবদ্ধভাবে আলোকসজ্জা স্থাপনের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি সড়ক পরিদর্শন করেন নব-নির্বাচিত এ চেয়ারম্যান।
পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, আমার কথা বিশ্বাস করে জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছেন। আমি কিন্তু এই এলাকার সন্তান। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বাহিরেও আমার অনেক কাজ করার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রথম ধাপে আমাদের পাহাড়ী কন্যা এই নাইক্ষ্যংছড়িকে আলোকিত পাহাড়ী আধুনিক শহর করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দুপাশে আলোকসজ্জা করারর কাজ ইতি মধ্যে শুরু করবেন বলে জানান তিনি। পাহাড় ঘেরা এই উপজেলাকে দেখে মনে হয় যেন পাশ্চাত্যের কোন এক শহর। এমন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি নতুন এই অভিভাবক।
এসময় তিনি আরও বলেন, এই সকল আলোকসজ্জার আয়োজন আর উন্মাদনার কেন্দ্রবিন্দু হবে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, মাদক প্রতিরোধ করা এবং সড়কের দ্বি-প্বার্শে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা। আর এতেই পাল্টে যাবে নাইক্ষ্যংছড়ির পুরাতন রূপ। আর গ্রামীণ অবকাঠামোর আদলে গড়ে তোলা হবে পাহাড়ী শহর । সবকিছুতেই যেন নতুনত্বের ছোঁয়া।
বিশেষ করে উপজেলার প্রাণকেন্দ্র চিরজাগ্রত বাংলাদেশ চত্বর, নাইক্ষ্যংছড়ি পর্যটন লেক, দেশের একমাত্র গয়াল গবেষণা কেন্দ্র ও পর্যটন স্পষ্টকে ঢেলে সাজানো হবে। এসব মিলিয়ে যেন এক টুকরো প্রাণের শহর গড়ে তোলা হবে এই নাইক্ষ্যংছড়িকে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।