সংবাদদাতা : কক্সবাজার জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান -১ ও চকরিয়া পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক সময়ের ছাত্র রাজনীতির সহযোদ্ধা জাবেদ হোসেন পুতুলকে নিয়ে আজ ৪ এপ্রিল এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার এ স্ট্যাটাস অনেকের নজর কেড়েছে ।  তা পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল ।

“সময় চলে যায়-ভোগ,বিলাস,আর আত্নসমৃদ্ধিতে- জাবেদ হোসেন পুতুলদের জীবনে পরিবর্তন আসেনা-এমনি রাজপথে ত্যাগী হাজারো পুতুল গুমরে গুমরে কাঁদে বড় অযত্ন- অবহেলায়।অভিশাপ দেয়-টানা ৩ বার রাষ্ট্রক্ষমতায় ভোগে মাতোয়ারা লুটেরাদের।এভাবেই নীরবে-নিঃশব্দে জীবন প্রদীপ নিভে যাবে রাজপথে কঠিন দুর্দিন,দুঃসময়ে জীবন বাঁজি রেখে জয়বাংলা শ্লোগানে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাওয়া হাজারো-লক্ষ পুতুলদের… ।
চকরিয়া কলেজের সে দিনের বি,এন,পি-জামাতের হামলাঃ
১৯৯৯ সাল আওয়ামীলীগ ক্ষতায়-বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুদ্দীন মানিক ভাই আর আমি সাধারন সম্পাদক ছিলাম।কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিল রাজিফ আর সাধারন সম্পাদক ছিল কফিল।সে দিন সকাল ১১ টায় কলেজ চলাকালীন সময়ে ক্যাম্পাসে অতর্কিতে বি,এন,পি-জামায়াত,ছাত্রদলের ভারী অস্ত্রে সজ্জিত ক্যাডার বাহিনী হামলা চালায় ছাত্রলীগের জমায়েতে।অতর্কিত হামলায় সবাই ভয়ে যে যার মত প্রান বাঁচাতে ছুটতে থাকে- জাবেদ হোসেন পুতুল শক্ত করে আমার হাত ধরা ছিল-খুব কাছ থেকেই একজন আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লো শুয়ে পড়ে আত্নরক্ষা করলাম আবারও দুজন হাত ধরে দৌড়ে কলেজের মূলভবনের দুতলায় উঠার চেষ্টায় ছিলাম-ঠিক সেই সময়ে আমার হাত ধরা অবস্থায় পুতুল গুলিবিদ্ধ হয়,আমরা কোনরকমে প্রিন্সিপাল স্যারের কক্ষে আশ্রয় নিই।ওরা দুতলায় উঠে এলোপাথাড়ি গুলি করে।ভেতরে আমরা অসহায়-বাহিরে আমার সেই সময়ের নতুন(আমেরিকা প্রবাসী মেজ ভাইয়ের কিনে দেয়া)হিরু হোন্ডা ওরা পুড়িয়ে দেয়,তান্ডব চালিয়ে বীর দর্পে ওরা চলে যায়-মুমুর্ষ অবস্থায় পুতুল কে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।মানিকভাই,রতনদা,বুলেট,মুমেন,হায়দার,নাজমুল,মিজান,ইছমাইল,সহ অনেকেই সেদিন দায়িত্ব পালনে স্বচেষ্ট ছিল।পুতুল চুখ হারায়-আমিও মরতে মরতে বেঁচে যাই।কাকে শুনাবো এই রাজপথের কঠিন জীবন কাহিনী?কে শুনবে? আজ অনেক রথী-মহারথীদের নগ্ন উল্লাসে রাজপথের কঠিন দুর্দিনের আপোষহীন যোদ্ধাদের করুন জীবন পরিক্রমায় বড়ই কষ্ট হয়-কষ্ট পাই।
এখন ২০১৯ সাল চলমান ক্ষমতায় আমাদের দল।আকাশে কত রংবেরংগের গুডি উড়ছে,জয়বাংলা শ্লোগানে রাজপথ কাঁপানো মিছিলের সহযোদ্ধাটির পরনের জামাটি ছিঁড়েখুঁড়ে গেছে,সংসারে টানাপোড়েন,বেকার হতাশায় ক্ষতবিক্ষত,চুখের কোনায় জমা হওয়া অশ্রু কনায় নীরবে বুক ভাসায়।আর লুটেরা লুটে যায়–
আসুন, একটু জাগ্রত হই,বুক ফুলিয়ে সত্যটুকু উচ্চারন করি,যেই আদর্শে আপোষহীন লড়েছি জামায়াত-বি,এন,পি-র অপরাজনীতির বিরুদ্ধে এবার একটু শেষ লড়াই করি নিজ দলে ঘাপটি মেরে থাকা কর্মীশোষক,আগন্তুক লুটেরাদের বিরুদ্ধে।সেই অনিবার্য লড়াইয়ের বিজয়ই ফুটাতে পারে একপুতুল নয় লক্ষ পুতুলের মুখে হাসি।জীবনের শেষ আশ্রয়,কর্মীদের মর্যাদা- মমতাময়ী মা-দেশরত্ন শেখ হাসিনা জীবন দিয়ে ভালবাসি।

জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু।

জাহেদুল ইসলাম লিটু
সাবেক সাধারন সম্পাদক/সভাপতি
বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ।”