ফাইল ছবি

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

দ্বিতীয় দফায় ইয়াবাবাজদের আত্মসমর্পণ আগামী ২২ এপ্রিল অথবা ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি অনুষ্ঠানে আসার দিনটি নিশ্চিত করলেই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের চুড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে। তারআগে প্রথম দফায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ কলেজ মাঠে আত্মসমর্পণকৃত ১০২ জন ইয়াবাবাজ তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা থেকে শীঘ্রি অব্যাহতি পাবে। অব্যাহতির বিষয়ে সমস্ত প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি এখন চুড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে শুধুমাত্র ১৬ ফেব্রুয়ারি আত্মসমর্পণের দিন টেকনাফ মডেল থানায় ইয়াবাবাজদের বিরুদ্ধে দায়ের করা জিআর ৯৮/২০১৯ এবং জিআর ৯৯/২০১৯ মামলা ২ টি প্রত্যাহার করা হবে। আত্মসমর্পণের আগে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো আদালতে স্বাভাবিক আইনী প্রক্রিয়ায় চলমান থাকবে। ইয়াবাবাজদের আত্মসমর্পণের সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত একটি বিশ্বস্ত সুত্র এতথ্য নিশ্চিত করেছে।

সুত্রমতে, এবারো ইয়াবাবাজদের আত্মসমর্পণের বিষয়টি মধ্যস্থতা করছেন প্রাইভেট টিভি চ্যানেল-২৪ এর সিনিয়র সাংবাদিক কক্সবাজার জেলার পেকুয়ার সন্তান আকরাম হোসেন। তিনি জানান-দ্বিতীয় দফায় প্রায় ৫০০ ইয়াবাবাজ ও হুন্ডিবাজ আত্মসমর্পণের টার্গেট রাখা হয়েছে। তারমধ্য ২ শতাধিক ইয়াবাবাজ ও হুন্ডিবাজের সাথে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ হয়েছে। ইতিমধ্যে যোগাযোগকৃতদের মাঝে রাষ্ট্রের কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আগ্রহ খুব বেশী উল্লেখ করে সাংবাদিক আকরাম হোসেন সিবিএন-কে বলেন-ইয়াবাবাজেরা আত্মসমর্পণের উদ্দ্যেশে ভাল সাড়া দিচ্ছে এবং এবার ইয়াবানগরী টেকনাফ থেকে ইয়াবাবাজদের শেকড় সহ তুলে আনার চেষ্টা চলছে।

একটি সুত্র জানিয়েছে, আত্মসমর্পণে আগ্রহী প্রায় অর্ধশত ইয়াবাবাজ ও হুন্ডিবাজ ইতিমধ্যে একটি জায়গায় তারা নিজেরা জড়ো হয়েছে। আগামী ২২ এপ্রিল কিংবা ২৩ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি নিজে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ইয়াবাবাজ ও হুন্ডিবাজদের আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান করবেন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পুলিশের আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি বিপিএম-বার, কক্সবাজারের সংসদ সদস্যবৃন্দ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধবতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। আইনি জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার আশংকায় গতবারের মতো ইয়াবাবাজ ও হুন্ডিবাজেরা আত্মসমর্পনের জন্য জড়ো হওয়ার বিষয়টি এবার প্রকাশ নাকরে সম্পূর্ণ গোপন রাখা হচ্ছে বলে সুত্রটি জানিয়েছে।