বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চার ধাপের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। শেষ ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ১৮ জুন সম্পন্ন করা হবে।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার দেওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চার ধাপে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়া ৪২১টি উপজেলার মধ্যে ৬৮ শতাংশ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ আওয়াম লীগ। ৩১ শতাংশ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর অবশিষ্ট জয় ঘরে তুলেছে জাতীয় পার্টি ও জাতীয় পার্টি-জেপি।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আ’লীগ মোট ২৮৬টি আসনে জয় পেয়েছে। যা মোট আসনের ৬৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলটির ৯২ জন প্রার্থী জয় পেয়েছেন, যা দলটির চেয়ারম্যান পদে প্রাপ্ত উপজেলার ৩২ দশমিক ১৬ শতাংশ।

স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৩১টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছে। যা ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়া উপজেলার ৩১ দশমিক ১১ শতাংশ।

আর অবশিষ্ট ৪টি উপজেলার মধ্যে জাতীয় পার্টির তিন জন আর জাতীয় পার্টি-জেপির একজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোট ৯৩ জন। এদের মধ্যে ৯২ জন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

প্রথম ধাপে ৭৯ উপজেলা ভোট:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৫৬ জন জয় পেয়েছেন। এর মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ১৪ জন। আর স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছে ২৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ ধাপে ভোট পড়েছে ৪৩ শতাংশ।

দ্বিতীয় ধাপে ১১৪ উপজেলায় ভোট:
আওয়ামী লীগের ৭৪ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। এদের মধ্যে ২৩ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে ২ প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র থেকে ৩৮ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এদের একজন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার ৪১ শতাংশ।

তৃতীয় ধাপে ১২২ উপজেলায় ভোট:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মোট ৮৩ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন। এদের মধ্যে ৩১ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পার্টির একজন প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র থেকে ৩৮ জন প্রার্থী ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ধাপে ভোট পড়েছে ৪১ শতাংশ।

চতুর্থ ধাপে ১০৬ উপজেলায় ভোট:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন। এর মধ্যে ২৪ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পার্টি-জেপি একজন ও স্বতন্ত্র থেকে ৩২ প্রার্থী ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। চতুর্থ ধাপে ভোট পড়েছে ৩৭ শতাংশ।

গত ১০ মার্চ প্রথম ধাপ, ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপ, ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপ এবং ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।