নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া :
পেকুয়ায় উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, বহু মামলার আসামী ও বনরাজা বাহিনীর প্রধান জাহাঙ্গীর আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার (১এপ্রিল) দুপুরে হামলা ও চাঁদাবাজির একটি মামলায় কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাকিম তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
মামলা সূত্র জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে আব্দু রহিমকে চাঁদার দাবীতে তার বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ চেষ্টা চালিয়ে আসছিল বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী এলাকার জাফর আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। এরই ধারাবাহিতায় গত ৫ এপ্রিল আব্দু রহিমের বসতবাড়িতে হামলা চালায় জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দু রহিম আদালতে ফৌজদারি দরখাস্ত দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি পেকুয়া থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে সত্যতা পেয়ে পুলিশ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী সাইফুল হক বলেন, আসামী জাহাঙ্গীর আলম মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিল। জামিনের নির্ধারিত সময় শেষে তিনি নিম্ন আদালতে হাজির হয়নি। আজ সোমবার তিনি কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করে। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করেন তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
এদিকে পেকুয়ার পাহাড়ী এলালাকার সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান জাহাঙ্গীর আলমকে কারাগারে প্রেরণ করায় আদালতকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
জহিরুল আলম নামের এক বাসিন্দা বলেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ বনরাজা জাহাঙ্গীর ও তার নেতৃত্বাধীন বাহিনীর কাছে জিম্মি ছিল বারবাকিয়া টইটং ইউনিয়নের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। তার অবৈধ অস্ত্রে ঝনঝনানিতে অতিষ্ঠ ছিল সাধারণ মানুষ। সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের হামলা মারধর, চাঁদাবাজি, পাহাড়ের গাছ লুঠ, বালি লুঠ ও মাদক ব্যবসা সহ এমন কোন অপকর্ম ছিলনা, যা সে করেনি। তাই তার যথাযথ শাস্তির দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।