শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :

কক্সবাজার জেলার বৃহত্তম বানিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ঈদগাঁও বাজারে প্রায় ১০/১৫ টি পুরাতন ভবন রয়েছে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায়। আর এসব ভবনে প্রায় ৩/৪ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। সেই সব শ্রমিকদের জীবনও ঝুঁকির মুখে। একাধিক বার ভুমিকম্পের ঘটনা ঘটলেও ঈদগাঁও বাজারসহ আশপাশের ফ্ল্যাট বাড়ি গুলো ঝূঁকিপূর্ন চিহ্নিত করে সিলগালা করেনি প্রশাসন। সরেজমিন দেখা গেছে, ঈদগাঁও বাজারে দুই শতাধিক মার্কেট ও ভবন রয়েছে। যেখানে গড়ে উঠেছে বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে শিল্প কারখানাও রয়েছে। কিন্তু এত বড় বাজার এলাকায় কয়েকটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। বড় কোন দুর্যোগ হলে পানির কোন ব্যবস্থা নেই। আর দুই কিলোমিটার বাজার এলাকায় এতগুলো ভবন থাকলেও অধিকাংশ ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই। ৩৩ এবং ১৬ কিলোমিটার অদূরে দুটি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন। ভবনগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, একটি ভবন অপরটির সাথে ঘেষা। রাস্তাগুলো সরু। প্রধান সড়কটি প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকায় ফায়ার সার্ভিসের যানবাহন প্রবেশ করতে দুর্ভোগে পড়তে হয়। আর মধ্যবর্তী স্থানে অগ্নিকান্ড কিংবা ভূমিকম্পনের মত দুর্যোগের কবলে পরলে যে হাজার হাজার শ্রমিক সহ মাালিক তাদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে অনেকটাই নিশ্চিত। যে কয়েকটি ভবনকে ঝুকিপূর্ন রয়েছে বড় কোন দূর্যোগ হলে সেই ভবন থেকে ৩/৪ শ মিটার দুরে থাকতে হবে ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকর্মীদের। কারণ রাস্তাগুলো রিক্সা ভ্যান ছাড়া আর কিছুই চলে না। এছাড়াও রাস্তাগুলোর মাঝে মাঝেই রয়েছে বৈদ্যুতিক তার। রয়েছে ড্রেনের অব্যবস্থাপনাও। পুরো ঈদগাঁও বাজারে বেশকয়েকটি ভবন ঘুরে দেখা গেলে একাধিক ভবনে ফাটল রয়েছে। বাজার এলাকার পুরাতন ভবনগুলোকে ঝুকিপূর্ন চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান বিশ্লেষকেরা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ইনচার্জ শেফায়েত হোসেন সাগর জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি তাদের নজরে রয়েছে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ভবন মালিকদের ডেকে নিজ উদ্যোগে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হবে। না সরালে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সরিয়ে ফেলা হবে। বাজারটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ বিধায় আমরা সব সময় নজর রাখি।