মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের গুলিবিদ্ধ চেয়ারম্যান আবদুল মতলব (৬৯) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার ২৯ মার্চ দিবাগত রাত একটার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের প্রো-অ্যাকটিভ মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে মারা যান তিনি। লেদা ক্যাম্পের ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সহকারী ইনচার্জ মো. শাহাজাহান সিবিএন-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মো. শাহাজাহান জানান, আবদুল মতলব মিয়ানমারের মংডুর উদং গ্রামের বাসিন্দা ছিদ্দিক আহমদের ছেলে। তিনি মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ২০০৩ সালে। এরপর থেকেই টেকনাফে অবস্থান করছেন। মতলব হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা ক্যাম্পের ডেভলমেন্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ রোববার লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তিন রাস্তার মাথায় সি-২৪ ব্লকে মোহাম্মদ হোসেন নামে একজন রোহিঙ্গার পানের দোকানে বসেছিলেন আবদুল মতলব। এসময় হঠাৎ একদল অস্ত্রধারী তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পাশে থাকা লোকজন এগিয়ে আসলে অস্ত্রধারীরা পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ক্যাম্প এলাকায় আইএমও পরিচালিত একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন চিকিৎসক। সেখান থেকে পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ নেওয়া হয়।
টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘লেদা ক্যাম্পের গুলিবিদ্ধ চেয়ারম্যান চিকৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।’রোহিঙ্গারা জানান, টেকনাফের রঙ্গিখালি ও আলীখালী এলাকার কিছু ইয়াবা ব্যবসায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিল। আবদুল মতলব চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। মতলবের সহযোগিতায় ইয়াবাসহ এক ইয়াবা বিক্রিতাকে আটক করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এসব কারণে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে।