হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী : 
এ যেন এক অন্যরকম নাইক্ষ্যংছড়ি। উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনতা নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো.শফিউল্লাহকে বরণ করে নিচ্ছেন। যেন নির্বাচনের পর থেকে প্রতিদিন ফুলের রাজ্যে প্রবেশ করছেন তিনি।
আগামীতে সুযোগ-সুবিধার চিন্তায় নতুন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরিচিত হতে হুমরি খেয়ে পড়ছেন অসংখ্য পরিচিত মুখ। উপজেলার প্রতিটি শ্রেণির মানুষ যেমনি ফুলে ফুলে ভরিয়ে দিচ্ছেন চেয়ারম্যান শফিউল্লাহকে; তেমনি ‘আমি তোমারি লোক’ প্রমাণের প্রাণান্তকর চেষ্টাও চলাচ্ছেন। অতীতে উপজেলা চেয়ারম্যানকে বরণে নাইক্ষ্যংছড়িতে এতো ফুলের সমারোহ চোখে পড়েনি।
গেল ১৮ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে- ৪ হাজার ১০০ ভোট বেশি পেয়ে আবু তাহেরকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শফিউল্লাহ।
ইতোমধ্যে নির্বাচনের পর পাঁচ ইউনিয়নের অলিগলিতে সফর করে পাহাড়ী-বাঙালি জনসাধারণের সঙ্গে বিজয়ের শুভেচ্ছা বিনিময় সেরেছেন চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে এসময় তাঁকে বরণ করে মানুষ। তখন সরব ছিল দলীয় নেতাকর্মীদের পদচারনাও। রেকর্ড ভঙ্গ করে বাইশারীর মানুষ সংবর্ধিত করেছেন চেয়ারম্যান শফিউল্লাহকে।
এবার তাঁর জয়ে সারথী হয়ে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী, বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম ও নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের নির্ভিক কলম সৈনিকেরা।
এদিকে জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি, মাদক নির্মুলে একটা সমন্বিত ভাবে কাজ করা এবং নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় উৎপাটনও চ্যালেঞ্জিং একটা সমন্বিত কাজ বলে জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো.শফিউল্লাহ। ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গণমাধ্যমের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।