বাংলা নিউজ: যুক্তরাজ্য থেকে আরো ২০ লাখ পাসপোর্ট বুকলেট ও ২০ লাখ রেশনেশন ফয়েল কিনতে একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আস্তে আস্তে ই-পাসপোর্ট হয়ে যাবে। আমরা এখনও মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি নিয়ে চলছি। ই-পাসপোর্টের কাজও চলছে। এমআরপি কন্টিনিউ না করলে মানুষ বিদেশে যেতে পারবে না। এটি একটি চলমান প্রকল্প। একটি ব্রিটিশ কোম্পানি ডি লা রু পাসপোর্ট সরবরাহের কাজ করে। তারা ভালোই কাজ করছে।

তিনি বলেন, ডি লা রু’র সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী আমাদের আরও ২ মিলিয়ন (২০ লাখ) পাসপোর্ট ও ২ মিলিয়ন (২০ লাখ) লেমিনেশন ফয়েল সরবরাহ করবে। এজন্য আমাদের লাগবে ৪০ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

মন্ত্রী বলেন, তাদের কাছ থেকে ৩৬২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫ মিলিয়ন পাসপোর্ট ও ১৫ মিলিয়ন লেমিনেশন ফয়েল আমরা কিনছি। অতিরিক্ত আরও ২ মিলিয়ন পাসপোর্ট ও ২ মিলিয়ন লেমিনেশন ফয়েল কেনায় মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৪০৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

প্রত্যেক উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস অফিস
প্রত্যেক উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস অফিস করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন ‘গুরুত্বপূর্ণ ১৫৬টি উপজেলা সদর বা স্থানে ফারায় সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১৫টি প্যাকেজে ৩৪ লটে ৩৪ প্রকার অগ্নিনির্বাপণী ও উদ্ধার সাজ-সরঞ্জাম ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

এতে ৮৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানান মন্ত্রী।

ফেরত গেলো আউটার রিং রোড প্রকল্প
‘কনস্ট্রাংশন অব আউটার রিং রোড থ্রো পিপিপি’ এর আওতায় ঢাকার চারপাশে সড়ক তৈরি প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলেও সেটি ফেরত দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের লোড কমাতে হলে আউটার রিং রোড করতে হবে। আউটার রিং রোড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কারণ, আমাদের পদ্মাসেতু যখন হয়ে যাবে ওই পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের সাতটি জেলার সব ট্রাফিক মুভমেন্ট এ রাস্তা দিয়ে আসবে। ট্রাফিকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই গুণ বেড়ে যাবে। ট্রাফিকের লোড বাড়বে ঢাকা শহরে, সেখানে কিছুটা হলেও লোড কমানোর জন্য রিং রোড করতে হবে।

জাপানের একটি প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন করবে। চীনের মারুবিনি কোম্পানি কাজটি করবে।

মন্ত্রী জানান, প্রকল্পটির আরো কিছু কাজ বাকি আছে। যেভাবে প্রকল্পটি এসেছে, ইউলুপ করে ইন-এক্সিট করার ব্যবস্থাগুলো যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি। সেজন্য আমরা ফেরত দিয়েছি। প্রজেক্ট নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, কিন্তু ডিজাইন অ্যাসপেক্ট নিয়ে প্রশ্ন এসেছে। পরবর্তী মিটিংয়ে অনুমোদন দেবো।

নতুন নতুন কমপোন্টে যুক্ত হলে কষ্ট কমবে না। এতে কিছুটা হলেও কষ্ট বাড়বে।

জয়িতা টাওয়ার নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প পেছালো
অর্থমন্ত্রী বলেন, ধানমন্ডিতে জয়িতা টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দিতে পারিনি। যেভাবে এসেছে আমাদের আরো কিছু প্রশ্ন রয়ে গেছে। প্রজেক্ট করতে গেলে অনেক নিচে যেতে হবে, চার তলা পর্যন্ত নিচে যেতে হবে। আমাদেরে দেশে এ ধরনের প্রযুক্তি খুব একটা ব্যবহার হয়নি। যারা এ ধরনের কাজ করে তাদের যুক্ত করা যায় কিনা, আমরা কমিটিকে বলেছি। যেখানে প্রজেক্ট করা হবে, তার পাশে অনেক বড় বড় কনস্ট্রাকশন আছে। সেগুলো যাতে ইফেক্টেড না হয় সে বিষয়টি দেখে নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে।