সিবিএন ডেস্ক:
তৎকালীন পাকিস্তানিদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে তারা মরুভূমিতে ফুল ফুটিয়েছিল। বাংলাকে তারা পরিণত করেছিল মরুভূমিতে। বাংলায় কোনো উন্নয়ন তারা করেনি। এ বৈষম্যের কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের মানুষকে আন্দোলনমুখী করে গড়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বাঙালির অধিকারের জন্য বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন।

আজ বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, রমেশ চন্দ্র সেন, কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহবাহ উদ্দীন সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের (উত্তর) সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, (দক্ষিণ) সভাপতি আবুল হাসনাত, সাবেক ছাত্রনেতা আমিরুল আলম মিলন, আওয়ামী লীগ নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সভা পরিচালনা করেন।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের পাট, চা ও চামড়া বিক্রি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হতো। বাংলাদেশের অর্জিত এই টাকা বাংলার উন্নয়নে ব্যবহার হতো না। এই টাকা দিয়ে তারা পাকিস্তানের উন্নয়ন করত।’

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষও ছিল বেশি। সংখ্যাগরিষ্ঠের দিকটাও তারা দেখত না। এমনিভাবে বাংলাদেশের মানুষকে বঞ্চিত করেছে পাকিস্তানিরা।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে বাঙালি সৈনিকরাই অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছে। বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকরা সামনে থেকে যুদ্ধ করে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিল। তারপরও তারা (পাকিস্তানিরা) বাংলাদেশের মানুষকে শোষণ করেছে। এ কারণে পাকিস্তান সৃস্টির পর বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এদের সঙ্গে আমাদের হবে না। তখন থেকেই বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য বঙ্গবন্ধু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। এ সংগ্রামকে বেগবান করতে বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’

বাংলাদেশ উত্তরোত্তর এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এগিয়ে যাব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব। এ দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করব। এ দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলব।’

তিনি বলেন, ‘এসব করতে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশ হবে রোলমডেল। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলব।’