সংবাদদাতা:

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে সড়ক পাকা করার কাজে বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কক্সবাজার এলজিইডি তালিকাভুক্ত একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্টান এই রাস্তা নির্মাণ কাজ করছে। তাদের বিরুদ্ধে রাস্তা নির্মাণে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

সুত্রে জানা গেছে, ঈদগাও নুর-এ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দক্ষিণ মেহেরঘোনা হয়ে চান্দেরঘোনা যাওয়ার সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতাভুক্ত। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রায় ২ কোটি টাকার কাজটি পেয়েছে এলজিইডি’র তালিকাভুক্ত শাহ নুর এন্টারপ্রাইজ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত এই সড়কটি নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। যার জন্যে গুণতে হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। যা চান্দেরঘোনা, (কাটামোরা-দরগামোরা) এলাকার প্রতিটি বাড়ি থেকে চাদা নেওয়ার মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। তার পরেও যেনতেনভাবে সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ করার পায়তারা চালাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্টান। অভিযোগ রয়েছে তারা বালির বদলে মাটি ব্যবহার করছে।

স্থানীয় মাঈন উদ্দিন বলেন, এলাকায় ভালো বালু থাকার পরেও কেন
মাটি ব্যবহার করছে তা আমরা জানিনা।
সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণে
মাটি ব্যবহার করা হলে রাস্তাটি টেকসই হবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কায় আছি। তাছাড়া তদারকি করতে কর্তৃপক্ষের কাউকে দেখা যায়নি। এমনকি কাজ চলমান অবস্থায় সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের একজন কার্যসহকারী নিয়মিত দেখাশোনার দায়িত্বে থাকার কথা থাকলেও অভিযোগ দেওয়ার মতো কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।
তাই বিষয়টি দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরুধ জানিয়েছেন সচেতন মহল।

এ ব্যপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক রাকিব বলেন, আমরা এক কোটি টাকা জামানত দিয়ে সড়ক নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছি যেখানে অনিয়মের কোন প্রশ্নই আসে না। তবে বালির বিষয়টি স্থানীয় জাহাঙ্গির নামক এক ব্যক্তিকে কন্ট্রাক দিয়ে দিয়েছি। সে কেন বালির পরিবর্তে মাটি দিচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে।

কক্সবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, বালির পরিবর্তে মাটি দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগটি সরেজমিন গিয়ে তদন্ত করা হবে।