বার্তা পরিবেশক:
‘সাংসদ কমলের নেতা-কর্মীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে, ৩০ হাজার ভূঁয়া ব্যালটের মাধ্যমে আমার (সোহেল সরওয়ার কাজল) পরাজয় নিশ্চিত করা হবে।’
তারা (নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থক) বিভিন্ন সভা-সমাবেশে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে- ভোটের আগের দিন রাতে প্রিসাইডিং অফিসারদের (৩০ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা) ম্যানেজ করে সিংহভাগ ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে রাখা হবে, এবং দিনের বেলায় সন্ত্রাসিদের দিয়ে ভোট কেন্দ্র অবৈধ ভাবে দখল করে ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দিয়ে ব্যালট কারচুপির মাধ্যমে ভোট ছিনতাই করবে, ভোট কেন্দ্রে আনারস প্রতীকের আমার এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেবে না, ভোটের দিন পথে পথে বিভিন্ন সন্ত্রাসি কর্মকান্ডের মাধ্যমে ভোটারদের বাধাগ্রস্থ করে ভোট কাস্টিং কম করা হবে- মর্মে হুমকি ধমকি দিয়ে সাধারণ নেতা-কর্মী ও ভোটারদের আতংকগ্রস্থ করছে।
রামু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘আনারস’ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহেল সরওয়ার কাজল তাঁর আপন ছোট ভাই ও সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এবং ‘নৌকা’ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উল আলমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল আগামি ২৪ মার্চ অনুষ্টিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে কক্সবাজার শহরের একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ তুলেন।
লিখিত বক্তব্যে কাজল বলেন, সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল তাঁর উশৃংখল নেতা-কর্মী, বিশেষ করে ১১ ইউপি চেয়ারম্যানদের দিয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার কর্মী সমর্থকদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করে যাচ্ছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহেল সরওয়ারের দাবি, নির্বাচন কমিশন সাংসদ কমলকে নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দিলেও তিনি কক্সবাজার শহরে অবস্থান করে ওখান থেকেই প্রশাসন ও ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসারদের চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে রামু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কারচুপির ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি মনে করেন, রামু নির্বাচনী এলাকায় আনারস প্রতীকের ভোট শতকরা ৮০ ভাগ। সুষ্টু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে কোন ভাবে আনারসের বিজয় ঠেকানো সম্ভব হবে না, ইনশাআল্লাহ।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজল বলেন, উপজেলার ১১ ইউনিয়নে সাধারণ ভোটারদের মাঝে আনারস প্রতীকে আমার গ্রহণযোগ্যতা, জনপ্রিয়তা এবং সুষ্টু নির্বাচনে আমার বিজয় সুনিশ্চিত জেনে স্থানীয় এমপির আশির্বাদপুষ্ট চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উল আলম বেসামাল ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সোহেল সরওয়ার কাজল বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন- ‘আস্থা থাকলে তুমি জিতে আসো’।
তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের সাথে পরামর্শ করে, নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশে ভোটে দাঁড়িয়েছি।
তিনি নির্বাচনী ষড়যন্ত্র, কারচুপি, সাংসদের অবৈধ হস্তক্ষেপসহ সবধরণের অপকর্মের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ্ত কামনা করেন।
ওই সময় তাঁর সাথে ছিলেন সোহেল সরওয়ার কাজলের ছোট ভাই তানভীর সরওয়ার রানা, রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জুনায়েদ বিপ্লব, নুরুল হক চৌধুরী, ইউনুছ রানা চৌধুরী প্রমূখ।