ডেস্ক নিউজ:
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ডাকসুর নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত নেয়।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মধুর ক্যান্টিনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।

আগামী ২৩ মার্চ বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে নব-নির্বাচিত ডাকসু নেতাদের নিয়ে কার্যকরী সভা হবে। এ সভায় ডাকসু নির্বাচনে নির্বাচিত বাকি নেতাদের সঙ্গে ভিপির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন নুরুল হক নুর। সঙ্গে আখতারও তার পদে দায়িত্ব নেবেন।

গত ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ওই পরিষদ থেকে নুর ও আখতার নির্বাচিত হন।

নির্বাচনের দিন দুপুরে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে অন্য চারটি প্যানেলের সঙ্গে নির্বাচন বর্জন করে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ প্যানেল।

নির্বাচনে ফল ঘোষণায় ভিপি প্রার্থী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে ২ হাজার ভোটের ব্যবধানে পেছনে ফেলে ভিপি নির্বাচিত হন নুরুল হক নুর।

নির্বাচন বর্জন করার পর ভিপি হিসেবে নুর দায়িত্ব নিবেন কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ প্রশ্নের উত্তর নুরুল হক নুর নিজেই দেন। ১২ মার্চ পুনরায় ডাকসুর দাবিতে অনশন করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে গিয়ে নুর বলেন, তিনি ভিপি পদ ও তার প্যানেল থেকে বিজয়ী আখতার হোসেনের সমাজসেবা সম্পাদক পদ বাদে ডাকসুর বাকি ২৩ পদে নির্বাচন চান। পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে নুর আন্দোলন করবেন বলে ঘোষণা দেন।

এরপর গত ১৬ মার্চ নুরসহ ডাকসু ও হল সংসদের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে যান। পরের দিন ১৭ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর সবগুলোপদে পুনরায় নির্বাচন চান বলে ঘোষণা দেন। নুরুল হক নুরের এমন দ্বৈতমতের কারণে ডাকসুতে তিনি দায়িত্ব নিবেন কি না সেটা নিয়ে সংশয় বাড়তে থাকে। তবে আজকের ঘোষণার পর সেই জল্পনা-কল্পনার অবসান হতে যাচ্ছে!