বিশেষ প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বদরখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম‌্যান ও উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ সমবায় সমিতি বদরখালী উপনিবেশিক সমবায় সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল বদরীর মৃত‌্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস‌্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ এবং তাঁরই সহধর্মিনী কক্সবাজার-০১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস‌্য এডভোকেট হাসিনা আহমদ।

ইকবাল বদরী বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কর্তব‌্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদ এক যৌথ বিবৃতিতে ইকবাল বদরীর মৃত‌্যুতে গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন। তাঁরা মরহুমের পরিবারে শোকাহত সদস‌্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস‌্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস‌্য এডভোকেট হাসিনা আহমদ বিবৃতিতে বলেন, ইকবাল বদরী ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গড়া সংগঠন বিএনপির আদর্শের এক সৈনিক। তিনি সারাজীবন শহীদ জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা এবং বিএনপির নীতি-আদর্শের প্রতি অবিচল ও বিশ্বস্থ। শুধুমাত্র বিএনপি রাজনীতি ও আদর্শের সাথে কাজ করেছেন বলে মামলা, হামলা ও নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তিনি মৃত‌্যুর আগমুহুর্ত পর্যন্ত অবিচল থেকে শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নে সংগ্রাম করে গেছেন।

তাঁরা বিবৃতিতে আরও বলেন, গ্রামের মেঠো পথ উঠে আসা এই রাজনীতিকের (ইকবাল বদরী) মৃ‌ত‌্যুতে অপুরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো। তিনি কক্সবাজার জেলায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্টাকালিন নেতাদের একজন। সেই থেকে তিনি ছাত্রদল, যুবদল হয়ে সর্বশেষ বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে দেশকে সেবা দিয়ে গেছেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদ মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন, তিনি যেন ইকবাল বদরীর জীবনের ভুল-ক্রুটি গুলোকে ক্ষমা করে বেহেশত নসিব করেন। একই সাথে নেতাদ্বয় মরহুম ইকবাল বদরীর পরিবারকে শোক সইবার শক্তি যেন মহান আল্লাহ দেন সেই প্রার্থনা করেছেন।

প্রসঙ্গত, মরহুম ইকবাল বদরী কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মরহুম ইকবাল বদরী মরহুম কবির আহমদ ও নুরুন্নাহারের ছেলে। মৃত্যুকালে মরহুম ইকবাল বদরী মৃত্যুকালে এক স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে যান।