আমাদের সময়:
কক্সবাজারের টেকনাফের ইয়াবাকারবারিদের অবৈধ সম্পদের খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে সিআইডি। প্রাথমিকভাবে ১৩৯ কারবারির এই তালিকা নিয়ে কাজ করছে। তালিকায় ১৬ ফেব্রুয়ারি আত্মসমর্পণ করে আলোর পথে আসা ১০২ ইয়াবাকারবারিও রয়েছে।

সিআইডি প্রত্যেকের পেশা, ব্যাংক হিসাব এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের খোঁজখবর নেবে। এতে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করা হবে। সূত্র জানায়, কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার কিছু দিন আগে ওই ১৩৯ জনের তালিকা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পাঠান। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে তালিকাটি সিআইডিতে পাঠিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। ইতোমধ্যে সিআইডি ওই তালিকাভুক্তদের অবৈধ সম্পদের খোঁজখবর নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও কক্সবাজার জেলা পুলিশ সূত্র বলেছে, তালিকাভুক্ত ওই ১৩৯ জন ইয়াবাকারবারি করে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। কেউ কেউ ইয়াবাকারবারির টাকায় গড়েছেন আলিশান প্রাসাদ। বিদেশেও অর্থপাচার করেছেন। সিআইডি তাদের সম্পদের হিসাব নিতে প্রথমে সব ব্যাংকে চিঠি দেবে তাদের কার নামে কতটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। ওই হিসাবগুলোয় কী পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই হিসাবে কারা অর্থ পাঠিয়েছেন পরবর্তী সময়ে তাদের একটি তালিকা করবে সিআইডি। পরে ব্যাংক হিসাব তলব করা হবে।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফের ১০২ চিহ্নিত ইয়াবাকারবারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপির উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণকারীদের ৯টি শর্ত দেওয়া হয়। এই শর্ত মেনেই আত্মসমর্পণ মঞ্চে হাজির হন। ১০২ জনের মধ্যে বদির ভাইসহ ১৩ স্বজনও ছিলেন।