আলমগীর মাহমুদ :

‘অলস মস্তিস্ক শয়তানের কারখানা’–কথাটি শিখনশালায় স্যারেরা ধারণ করিয়ে বলেছিলেন।

পুষ্টি মানে দুধ আদর্শ খাবার। সব ভিটামিন যেমন বিদ্যমান।তেমনি অলস মস্তিষ্ক সব নষ্টের বীজখোলা। কোথাও পাইলাম না আমার এই জ্ঞান রোয়াইঙ্গাদের জন্য নয়!

রোয়াইঙ্গারা রিফুইজি ক্যাম্পের বাসিন্দা বনে বছরের পর বছর পার করছে।তাদের রুটিন জীবন। রাতে ঘুমানো,নামাজে যাওয়া,রেশন তোলা।এমন কর্মে তারা অচিন হয়ে পড়েছে তার ভেতরে থাকা সম্ভাবনাময় সম্পদের সাথে।হারাচ্ছে জীবনবোধের দাঁড়ানোর সাহস।

দিনে দিনে সে আরো,আরো,আরো বেশী নির্ভর হয়ে পড়েছে N.g.o সংস্থার রেশনে।জাতিসংঘের সাহা্য্যে।

জাতিসংঘ তাদের কর্মহীন সাহা্য্যে কুতু পালং তিনলাখ পুরানো রোয়াইঙ্গারা আজ full to full বেকার।

এমন ভালবাসায় স্বজাতিও তাদের কবলে অনিরাপদ। কর্ম বনেছে নুতন আসা রোয়াইঙ্গাদের রেশন কেড়ে নেয়া।বিভিন্ন নয় ছয়ে তাদের কাছে সুযোগ আদায় করা।যা আজ রিফুইজি ক্যাম্পগুলোর নিত্যনৈমিত্তিক স্বাভাবিক ঘটনায় পরিনত হতে চলেছে।

একটা জাতিকে পেটের ক্ষিধে মিটিয়ে যদি দিনের পর দিন হাত,পা,মাথা চালনা ভুলিয়ে দেই।সে জাতি Depend হতে হতে তাদের যে মেরুদণ্ড আছে সে কথা ভুলেই যাবে।অলস মস্তিষ্কে তারা চুরি,ডাকাতি, মাদকসেবী,মাদককারবারী,অগুনতি সন্তান উৎপাদন (জন্মশাসনে জ্ঞানহীন) আরো বিভিন্ন হিংস্র কর্মে ঝুকে ঘরের চেরাগে ঘর জ্বালাবে।

আজ রোয়াইঙ্গাদের লাগামহীন জীবনে যাত্রা আমার আপনার কৌশলী ভালবাসারই সৃষ্ট।

আসুন.. এমন দিনের পর দিন অবাস্তববাদী ভালবাসা.. ভালবাসা আবহে তাদের নিচিহ্ন করার চেয়ে তাদের হাত,পা,মাথা চালনায় পারদর্শী করে তুলি।
১৭৯৯ সালে এই ভূমিতে যেভাবে করে গিয়েছিল বৃটিশেরা…..(চলবে)

লেখকঃ–বিভাগীয় প্রধান সমাজবিজ্ঞান বিভাগ।উখিয়া কলেজ।কক্সবাজার।
alamgir83cox@gmail.com