সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক ও সংস্থাটির এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীকে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে বদলিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি( ইয়েস)। পরিবেশবাদী এ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা মনে করে, এর মাধ্যমে দুদকের সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তাদের মনোবল ভেঙে যেতে পারে। বন্ধ হয়ে যেথে পারে পরিবেশ ধ্বংস করে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে দুদকের চলমান অভিযান।

ইয়েস এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান ও প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ মামুন বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক বিবৃতিতে মুনীর চৌধুরীর বদলিতে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। ১৮ মার্চ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে সরকারের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা মুনীর চৌধুরীকে বদলির আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ইয়েস এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আশা জাগিয়েছিল। বিশেষ করে পরিবেশ ধ্বংস করে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে দুদকের চলমান চলমান অভিযান ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অবৈধ ইটভাটার মাধ্যমে বায়ু দুষণ, পাহাড় কাটা এবং নদী দখল ও দুষণসহ সামগ্রিক পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম অনেকটা নিয়ন্ত্রণের পথে। এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের বেশ কিছু অভিযানও দুর্নীতিবিরোধী মানুষের কাছে ছিল ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দুদকের মহাপরিচালক এবং এনফোর্সমেন্ট টিমের প্রধান মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরীর অভিযানগুলো ছিল ব্যাপক প্রশংসিত। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে নিভৃতেই তিনি দুর্নীতিবিরোধী কাজ করছিলেন।

ইয়েস এর নেতারা বলেন, দুদকের হটলাইন ১০৬ নম্বরে অভিযোগ পাওয়ার পরই মুনীর চৌধুরী বিভিন্ন দপ্তরে হানা দিয়েছেন। মুনির চৌধুরীর এনফোর্সমেন্ট টিম যখন সারা দেশে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে ব্যস্ত, ঠিক তখনই তাঁকে বদলি করা হলো জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে। জনশ্রুতি আছে, বড় দুর্নীতিবাজ বা রাঘববোয়ালরাই তাঁকে বদলির জন্য বেশ কিছুদিন ধরে সক্রিয় ছিল। তাঁর বদলির ঘটনায় বিভিন্ন সরকারি অফিসে দুর্নীতিবাজরা গোপনে মিষ্টি বিতরণ উৎসব করেছেন বলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে।

এসব ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইয়েস এর কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেন, ‘আমরা মনে করি, একজন সৎ কর্মকর্তার এমন বদলির কারণে দুদকের অন্য সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তাদের মনোবল ভেঙে যাবে। এতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতিকে পিছিয়ে দেবে। আমাদের প্রত্যাশা, মুনীর চৌধুরীকে দেশের স্বার্থেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য দুদকে ফিরিয়ে আনা হোক।’