আলমগীর মানিক,রাঙামাটি :

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে বর্বরোচিতভাবে ৭ জন মানুষকে হত্যাসহ আরো ২২জনকে গুলিবিদ্ধ করে আহত করাসহ ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন ও উত্তেজনাকর সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় কর্তৃক গঠিত ৭ সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত কমিটির সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন। এই লক্ষ্যে কমিটির সকল সদস্যকে সাথে নিয়ে বুধবার রাতে রাঙামাটি সার্কিট হাউসে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে সাতটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত সময়কালধরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে তদন্ত কমিটির করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত এই বৈঠক চলে। তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিসের ডিডিএলজি (অতিরিক্ত সচিব) দীপক চক্রবর্তীর নেতৃতে উক্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন (সদস্য প্রশাসন) আশীষ কুমার বড়ুয়া, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ, মেজর আশরাফ উপ-অধিনায়ক বিজিবি বাঘাইহাট জোন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেক আহমেদ, চট্টগ্র্রম ৩০ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক ও অধিনায়ক মো. নুরুল আমিন, কমিটির সদস্য সচিব রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম। এদিকে কমিটির সদস্যরা ছাড়াও রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবিরসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ কমিটির সাথে বৈঠকে মিলিত হয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। এই কমিটি বৃহস্পতিবার বাঘাইছড়ি উপজেলায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করবে। এছাড়া ভবিষ্যতে এমন সহিংস ঘটনারোধে কমিটির সদস্যরা সুপারিশ দেবেন। আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন তারা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাজেকের কংলাক ভোটকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে নয় কিলো নামে স্থানে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ৭ জন নিহত হন। এই ঘটনায় আরো অন্তত ২২ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।