সিবিএন ডেস্ক:
২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষ হতে এখনও তিন মাস বাকি। এরইমধ্যে গত ছয় মাসের ব্যবধানে দেশের নাগরিকদের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯০৯ ডলারে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মাথাপিছু আয় ছিল এক হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে গত ছয় মাসের ব্যবধানে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৫৮ মার্কিন ডলার।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম ও পরিকল্পনা সচিব নুরুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ কম হয়েছে। তবে আশা করছি আগামী বছর থেকে বেসরকারি বিনিয়োগ আসবে। আমরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি, যাতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা আবারও ফিরে আসেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতি খুব ভালো ছিল। তাই প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। যেমন—রফতানি, বিনিয়োগ, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের অবস্থা ভালো ছিল।’ তিনি জানান, ২০২০ সালের পর পরবর্তী চার বছরে প্রবৃদ্ধি ডবল ডিজিটে পৌঁছাবে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল জানান, বর্তমান অর্থবছর শেষে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছাড়াবে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশে। গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই হার ছিল ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মূলত শিল্প খাতের হাত ধরে প্রবৃদ্ধির আকার বেড়েছে। এই অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির আকার দাঁড়াবে ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছর এটি ছিল ২২ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি সাধারণত তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এরমধ্যে এবার শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা গত অর্থবছরে ছিল ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, যা গত অর্থবছরে ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এছাড়া, কৃষি খাতে এ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা গত অর্থবছর ছিল ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।