ইমাম খাইর, সিবিএন:
চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল করিম সাঈদীকে ২৭ হাজার ৭১৬ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলা কনফারেন্স হলে ভোট গণনা শেষে প্রার্থীদের বেসরকারী ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এ সময় রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ বশির আহমদ, চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার সাখাওয়াত হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফলাফল অনুযায়ী, আনারস প্রতীকে ফজলুল করিম সাঈদী পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৭০৫ ভোট। নৌকা প্রতীকে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৮৯ ভোট।
উপজেলার ৯৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৯৮ কেন্দ্রে নৌকার চেয়ে আনারসের ব্যবধান রয়েছে ২৭ হাজার ৭১৬ ভোট।
চেয়ারম্যান পদে অন্য দুই প্রার্থী মোক্তার আহমদ চৌধুরী (মোটর সাইকেল) ৮৯ ভোট এবং মোহাম্মদ জহির (দোয়াত কলম) ১ হাজার ৮১ ভোট পেয়েছেন। পালাকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। ওই কেন্দ্রে ভোটের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬৮।
নির্বাচনে মোট অবৈধ ভোটের সংখ্যা ১২৫০ এবং প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৯০ হাজার ১১৪টি।

সাধারণ মানুষের অভিমত, প্রতীক দেখে ভোট দেয়নি জনগণ। ব্যক্তির ইমেজ, জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা করেছে ভোটারেরা।আওয়ামী লীগের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর তুলনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল করিম সাঈদীর জনপ্রিয়তা অনেক বেশী। শুধু চকরিয়া পৌরসভা এলাকায় নয়, গ্রামে গঞ্জেও সাঈদীকে এক নামে চেনে সাধারণ মানুষ। ভোটের বেলায় সেটি প্রমাণ দিয়েছে জনগণ।

এদিকে, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন জেসমিন হক জেসি। তিনি পেয়েছেন ৩৪২৯৪ ভোট।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাফিয়া বেগম শম্পা ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ২৯৯০৩ ভোট ও হাঁস প্রতীক নিয়ে জাহানারা পারভীন পেয়েছেন ২১৮০৭ ভোট।

এ ছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতা মকছুদুল হক ছুট্টু। তিনি বই প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭০৯৫ ভোট।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ আবু মুছা পেয়েছেন ১৯৩৩৭ ভোট। এ ছাড়া অন্য তিন প্রার্থী তালা প্রতীকের বেলাল উদ্দিন পেয়েছেন ১৫৯০৫, চশমা প্রতীকের ছৈয়দ আলম পেয়েছেন ১৪৪৫৪ ভোট ও সিরাজুল ইসলাম আজাদ টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১১১০৭ ভোট।

চকরিয়া উপজেলার ১৮ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫৫৫ জন। সেখানে পুরুষ ভোটার ১৪৮৯০৫ জন এবং মহিলা ভোটার ১৩৫৬৫০ জন। মোট ৯৯ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট কক্ষ ছিল ৬৩৪ টি। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জনসহ মোট ১২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।