শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, সদরঃ

মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শাইর মোহাম্মদের ছেলে। পেশায় দিনমজুর। সংসারে এক স্ত্রী, তিন কন্যা সন্তান। নিত্যদিনের মত সংসারের অভাব মেটাতে কাজের সন্ধানে বিগত ২০১৭ সালের ৫ জুলাই ছুটে যান চট্টগ্রামের পটিয়া। দৈনিক মজুরিতে একটি বাড়িতে গাছের ডালপালা পরিষ্কারের কাজ করছিলেন। এমন সময় অপ্রত্যাশিতভাবে নেমে আসে বিপদ। নুরুল ইসলাম মুখোমুখি হয়ে গেল ভয়াবহ ট্র্যাজেডির। ধপাস করে গাছের উপর থেকে পড়ে গেল মাটিতে। সুস্থ সবল নুরুল ইসলামের বাম পা ভেঙ্গে গেল। সেদিনের কঠিন সময়টা এখনো তাড়া করে নুরুল ইসলামকে। ভাঙ্গা পায়ে দেড় বছর পার করে দিলো। এখনো সুস্থ হননি। নুরুল ইসলামের তিন সন্তানের সংসার চলছে অভাব-অনটনে। খেয়ে না খেয়ে পার করছে যন্ত্রণার সময়। সংসারের ঘানি টানা কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অসহায় নুরুল ইসলাম স্থানীয়দের সহযোগিতা পেলেও তাতে যথেষ্ট নয়। ব্যবহার চিকিৎসার জন্য সহায় সম্পদ, ভিটে বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছে। পায়ের চিকিৎসার খরচ মিটিয়েছে। তবু এখনো ভাঙ্গা পায়ে জোড়া লাগেনি।
স্ক্রের সাহায্য চলাচল করতে গিয়ে দুই বছরে তার শরীরে আরো কয়েকটি রোগবালাই দেখা দিয়েছে। পায়ের ভিতর থাকা রড বের করাসহ সম্পন্ন সুস্থ হতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।
খেটে খাওয়া দিন মজুর নুরুল ইসলাম চিকিৎসার কারনে মাথা গোঁজার ঠাঁই বসত ভিটাটিও বিক্রি করে এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন পার করছে। চিকিৎসার ব্যয় বহন করা আর সম্ভব হচ্ছেনা।
নুরুল ইসলাম সমাজের দশ জনের মত স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করতে দেশের বিত্তবানদের পাশাপাশি প্রবাসী ভাইদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
সকল হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে জীবন ভিক্ষা চেয়েছেন অসহায় দিনমজুর নুরুল ইসলাম।
সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৮৭৭-২২৯২২৫ নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছেন অসুস্থ নুরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক (অর্থোপেডিক) ডাঃ চন্দন কুমার দাশের তত্বাবধানে নুরুল ইসলামের চিকিৎসা চলছে।