আলমগীর মানিক, রাঙ্গামাটি:

৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে রাঙ্গামাটির ১০টি উপজেলায় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী আমেজ ছাড়াই আজ সোমবার সকাল থেকে রাঙ্গামাটি জেলার ২০৮টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দীর্ঘ লাইন দেখা না গেলেও ভোটারা বিক্ষিপ্ত ভাবে কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছেন। ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘœ করতে রাঙ্গামাটির প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনী র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

রাঙ্গামাটির ১০ টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২২ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। সকাল ৮ টা থেকে বিরতীহীন ভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ দশ উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ১৮ হাজার ২৪৮ এর মধ্যে (পুরুষ-২লাখ ২০হাজার ৩৯৫, মহিলা-১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩৫জন)।

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বাঘাইছড়ি ও নানিয়ারচর উপজেলা বাদে রাঙ্গামাটির ৮টি উপজেলায় দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। এর মধ্যে কাপ্তাই ও লংগদু উপজেলায় আওয়ামীলীগের দুই জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় জয়লাভ করেছেন।

রাঙ্গামাটি সদরসহ ১০টি উপজেলায় অন্য বড় দলগুলো প্রার্থী না দিলেও সতন্ত্র প্রার্থীরা পাহাড়ের আঞ্চলিক দলের সর্মথন পেয়েছেন।

এদিকে কারচুপির অভিযোগ এনে সোমবার সকাল নয়টার সময় ভোটানুষ্ঠান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রাঙামাটির সীমান্তবর্তী উপজেলা বাঘাইছড়ির স্বতন্ত্র প্রার্থী বড়ঋষি চাকমা। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগের দিন রাতেই বহিরাগতদের মাধ্যমে ভোট বাক্সগুলো ভরে রেখেছে। সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এটা ষ্পষ্ট হওয়ায় নির্বাচন বর্জন করার ঘোষনা দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বড়ঋষি চাকমা।