হুমায়ূন রশিদ, টেকনাফ:
টেকনাফে আইন-শৃংখলা বাহিনীর কঠোর মাদক বিরোধী অভিযানের মুখে মাদক চোরাকারবারীরা কৌশল পরিবর্তন করে মাদক চোরাচালান অব্যাহত রেখেছে। পাহাড়ী ঢালাপথে এই ধরনের একটি মাদকের চালান লেনদেন করতে গিয়েই ছদ্মবেশী পুলিশের জালে আটকা পড়েছে ৩জন মাদক কারবারী। এসময় ঘটনাস্থল থেকে অপর ৩ মাদক কারবারী পালিয়ে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে যায়।
জানা যায়, গত ১৬মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টারদিকে টেকনাফের উপকূলীয় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের (ওসি তদন্ত) কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী ঢালাপথে মাদকের চালান লেনদেনের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছদ্মবেশ ধারণ করে বিশেষ টহলদল নিয়ে দক্ষিণ শীলখালীর জাহাজপুরা মাঠ পাড়া দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নেয়। সন্দেহভাজন কতিপয় ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া করে হ্নীলা ১নং ওয়ার্ড মরিচ্যাঘোনা বড়বিলের পাড়ার নুর হোছনের পুত্র মোঃ সলিম প্রকাশ আমিন, বাহারছড়া হলবনিয়া পাড়ার কবির আহমদের পুত্র সাকের আহমদ (২২) ও আমির আহমদের পুত্র হেলাল উদ্দিন (২০) কে আটক করে। লোকজনের উপস্থিতিতে তাদের দেহ তল্লাশী করে সলিম হতে ১৬শ পিস, সাকের হতে ১হাজার পিস, হেলাল হতে ৪শ পিস এবং পরিত্যক্ত ৩শ পিসসহ মোট ৩ হাজার ৩শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।

আটককৃতদের স্বীকারোক্তিতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ায় জাহাজপুরার মৃত ছিদ্দিক আহমদের সব্বির আহমদ (৪০), মাঠ পাড়ার মোঃ ইউনুছের পুত্র মোঃ মফিজ (২৫) এবং মৃত কালা মিয়ার পুত্র মোঃ রফিক আলম প্রকাশ ভূট্টোকে পলাতক আসামী করে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মাদক আইনে মামলা দায়েরের পর ১৭ মার্চ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে প্রশাসনের মাদক বিরোধী অভিযানে ১শ ২জন ইয়াবা কারবারী আতœসমর্পণ,বেশ কিছু মাদক কারবারী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পরও বিভিন্ন স্থানে মুখোশের আড়ালে জিঁইয়ে থাকা মাদক কারবারীরা কৌশল পরিবর্তন করে পাহাড়ী ঢালাপথকে ব্যবহার করে আসছে। এসব মাদক কারবারীদের সমূলে উৎখাত করতে সর্বস্তরের জনসাধারণকে সজাগ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন সচেতনমহল।