আমি মোঃ হোসেন পিতা হাজী খুইল্যা মিয়া সাং উত্তর নয়া পাড়া সাবরাং টেকনাফ। গত ১৩ মার্চ দৈনিক আমাদের কক্সবাজার পত্রিকায় “শহরের সিটি কলেজ এলাকায় বসবাসকারী, টেকনাফের ইয়াবা, স্বর্ণ ও অস্ত্র ব্যবসায়ী মাহামুদুল করিম মাদুসহ ৩ ভাই অধরা” শীর্ষক সংবাদটি কিছু দিন যাবৎ ঘুরেফিরে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদ পত্র ও অনলাইন পোর্টালে উক্ত মিথ্যা সংবাদটি প্রকাশ করে আমাকে এবং আমার ভাইদের ইয়াবা কারবারি ও স্বর্ণ চোরাচালানি হিসাবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাহার কোন প্রকার ভিত্তি নেই। আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে মুলত তারা সত্যকে আড়াল করতেই আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিক ভাইদের কাছে নানা প্রকার মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে সামাজিক ভাবে হেই প্রতিপন্ন করার কুমানসে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে বলে আমি মনে করি। আমরা আট ভাই ছয় বোন। আমরা এখনো যৌথ পরিবার হিসাবে আছি। আমার বড় ভাই আলী হোসাইন ১৯৯২ সালে আরব আমিরাতের দুবাইতে প্রবাস জীবন যাপন শুরু করে এখনো পর্যন্ত দুবাইতে প্রবাস জীবন যাপন করে যাচ্ছে। আমার আরেক ভাই জাহেদ হোসাইন ১৯৯৪ সালে সৌদিয়াতে গমন করেন এবং ২০১২ সালে দেশে ফিরে আসেন। আমার বড় ভাই ইমাম হোসাইন ১৯৯৩ সালে সৌদিয়াতে গমন করেন ২০১৬ সালে স্বদেশে ফিরে আসেন। আমার আরেক বড় ভাই আবুল হোসাইন ২০০৫ সালে আরব আমিরাতের দুবাইতে গমন করে ২০১০ সালে স্বদেশে ফিরে আসেন। আমি বিগত ১৯৯৮ ইংরেজি তারিখ সৌদি আরব গমন করি এবং ২০১৪ সালে স্বদেশ ফিরে অাসি। আমার বড় ভাই আমির হোসাইন ২০০১ সালে সৌদিয়াতে গমন করেন এবং ২০১৩ সালে স্বদেশ ফিরে আসেন। আমাদের সবার ছোট ভাই ইদ্রিস মিয়া ২০০৪ সালে সৌদিয়াতে গমন করেন ২০১১ সালে দেশে চলে আসেন। আমরা পাঁচ ভাই সৌদিয়াতে প্রবাস জীবন যাপন করার সময়ে অামরা তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলাম। একেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সৌদি মুদ্রায় মুলধন খাটিয়েছি দুই লাখ রিয়ালের উপরে। ইয়েমেনের সাথে সৌদিয়ার যুদ্ধের কারণে ব্যবসায়ীক মন্দা শুরু হলে আমি যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছিলাম তাহা তিন লাখ সৌদি রিয়ালে বিক্রি করে দেশে ফিরে আসি।বর্তমানে সৌদি আরবে আমাদের এখনো দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। যাহা পার্টনার মুলে আমাদের নিকট আত্মীয় কামালকে দিয়ে পরিচালনা করে আসছি। আমি ২০১৪ সালে সৌদিয়া থেকে দেশে ফিরে আসার পর থেকে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মামুন অর রশিদ এর সাথে মেসার্স তিনা এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী,বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড এর ঠিকাদার হিসাবে ঠিকাদারি ব্যবসা করে যাচ্ছি। বর্তমানে আমি উল্লেখিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে সুনামের সহিত ব্যবসা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধীনে ঢাকা ও সাভার এবং রামু সেনা নিবাসে আমাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তিনা এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদারি কাজ চলমান রয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের টেকনাফ নাজির পাড়া বিওপির ক্যাম্প নির্মাণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমি সৌদিয়াতে থাকা অবস্থায় ২০১৫ ইংরেজি সালে আমার পরিবার পরিজন ও স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের স্কুল যাতায়তের সুবিধার্থে একটি টয়োটা এলিয়েন কার যাহার নাম্বার চট্টমেট্রো গ- ১৩-০৭৬৯। এই গাড়িটি চালককে দায়িত্ব অর্পণ করি এই শর্তে যে, আমার পারিবারিক কাজের বাহিরে চালক কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ভাড়ায় চালাতে পারবে। সেই সুত্রে আমার গাড়ির চালক ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে ভাড়া যাওয়ার কথা বলে আমার অজান্তে অবৈধ স্বর্ণের চালান নিয়ে চট্টগ্রাম যাবার পথে লোহাগাড়া থানা পুলিশের হাতে স্বর্ণের চালান সহ আটক হয়। আমার গাড়ির চালক বিজ্ঞ আদালতে স্বর্ণের চালান সম্পর্কে আমি গাড়ির মালিক কিছুই জানিনা বলে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এখন আমার কথা হল মালিকের অজান্তে যদি চালক কোন ভাড়া নিয়ে কোথাও যায় তাতেকি মালিক দোষী হয়? সব চাইতে মজার বিষয় হলো আমি সৌদিয়াতে থাকা অবস্থায় কক্সবাজার সদর মডেল থানা তিন শতটি ইয়াবা বড়ি নিয়ে টেকনাফ থানার অন্তর্গত হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়া বাজার সাত ঘরিয়া পাড়ার গনি সুলতানের ছেলে মোঃ শাহজাহানকে আটক করে। মোঃ হোসন পিতা খুইল্যা মিয়া সাং নয়া বাজার টেকনাফকে পলাতক আসামী দেখিয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৯(১) এর টেবিল ৯(খ)/২৫ ধারা মতে একটি মামলা দায়ের করেন। কক্সবাজার সদর মডেল থানা মামলা নম্বর ৮৭ তারিখ ২৫/১০/২০১৩ ইংরেজি। এসটি মামলা নং ৬৩১/১৪। এই মামলার অভিযোগ পত্র হতে বিগত ১৬/০৮/২০১৪ ইংরেজি তারিখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ হোসন পিতা খুইল্যা মিয়া সাং সাত ঘরিয়া পাড়া নয়া বাজার মধ্যম হ্নীলা হোয়াইক্যং টেকনাফকে মামলার অভিযোগ হতে অব্যাহতি প্রদান করে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। এখানে বিষয়টি হলো উপরোল্লেখিত মামলার (জি আর ৮৭) পলাতক দুই নম্বর আসামির নাম মোঃ হোসেন পিতার নাম খুইল্যা মিয়া যাহা আমার নাম ও আমার পিতার নামের সাথে হুবুহু মিলে যায়।কিন্তু মাতার নামের সাথে মিল নেই।কক্সবাজার সদর মডেল থানার জি আর ৮৭ নং মামলার পলাতক দুই নং আসামির মাতার নাম নবীনা খাতুন আমার মাতার নাম হলো অলি বিবি। আমার ঠিকানা সাবরাং উত্তর নয়া পাড়া টেকনাফ। অামাকে যারা ইয়াবা কারবারি এবং স্বর্ণ চোরাচালানকারী হিসাবে চিহ্নিত করতে বিভিন্ন সময় অপচেষ্টারত চক্রান্তকারিরা কক্সবাজার সদর মডেল থানার জি আর ৮৭ নং মামলার মোঃ হোসন নামীয় আসামিকে আমি বলে চালিয়ে দিতে অপচেষ্টা করে যাচ্ছে তারা জানেনা বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে ছবি সহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের ফলে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে সত্যকে ঢাকা যায়না। অন্য একজন মোঃ হোসনকে আমি মোঃ হোসন বলে চালিয়ে দিতে যারা অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তাদের জ্ঞ্যাতার্থে বলতে চাই, মোঃ হোসন পিতা খুইল্যা মিয়া মাতা নবীনা খাতুন সাং সাত ঘরিয়া পাড়া মধ্যহ্নীলা ইউনিয়ন হোয়াইক্যং টেকনাফ যার ভোটার নং ২২১৮৫৮৬২০০২১। আমি সকলের অবগতির জন্য আরো জানাচ্ছি যে,বর্তমানে আমার ভাইয়েরা কে কোন ব্যবসার সাথে জড়িত আছে তার ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হইল।বড় ভাই নাজির হোসাইন টেকনাফ বটতলী বাজারে গ্রিলের ওয়ার্কসপ পরিচালনা করছেন। মেঝ ভাই আলী হোসাইন দুবাইতে ব্যবসা করছেন। জাহেদ হোসাইন করাত কল ও গাড়ির পার্টস এবং ট্রাক্টরের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। ইমাম হোসাইন সাবরাং সিকদার পাড়া বাজারে আমাদের পৈত্রিক জায়গায় নির্মিত খুইল্যা মিয়া মার্কেটের ৫০ টি দোকান দেখাশুনার দায়িত্বে আছেন। আবুল হোসাইন সাবরাং বাজারে গ্রিল ওয়ার্কসপ এবং টমটমের গ্যারেজ ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। আমির হোসাইন আমাদের পৈত্রিক কৃষি জমিতে চাষাবাদ করার কাজ পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। ইদ্রিস মিয়া সাবরাং বাজারে সিএনজি অটোরিকশার পার্টসের দোকান পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। উল্লেখ্য সাবরাং বাজারে আমাদের পৈত্রিক সাড়ে চার একরের উপরে জায়গা আছে। চাষাবাদের জমি আছে বাড়ি ভিটি ছাড়া ছয় একর। আমি কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকার দায়িত্বে নিয়োজিত সাংবাদিক ভাইদের কাছে অাবেদন জানাচ্ছি আমার এই স্টেটমেন্ট সম্পর্কে সত্যতা যাচাই করতে সরজমিন তদন্ত করে দেখুন। আপনাদের তদন্তে যদি আমার এই স্টেটমেন্ট মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে আমি অাইনানুগ যে শাস্তির বিধান রয়েছে সেই মোতাবেক শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য থাকবো। আমি দৃঢ়তার সহিত বিশ্বাস করি সাংবাদিক মানে সত্যকে তুলে ধরার এক নির্ভীক সৈনিক। এক জন সাংবাদিকের মনগড়া তথ্যের কারণে কোন নিরপরাধ মানুষ যদি মিথ্যা ভাবে হয়রানির শিকার হয় তাহলে জাতির বিবেক সাংবাদিক ভাইয়েরা কি জবাব দেবেন? আমি আশা রাখি আমার এই স্টেটমেন্টের পর আমি এবং আমার পরিবার সম্পর্কে কোন প্রকার ভ্রান্ত ধারণা আর থাকবেনা। আমাকে এবং আমার পরিবার সম্পর্কে কতিপয় ষড়যন্ত্রকারীরা বিভিন্ন সময় মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্যকে কলুষিত করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছেন তাদের মদদে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
নিবেদকঃ
মোঃ হোসাইন (মাদু)
পিতা : হাজী খুইল্যা মিয়া ,মাতা : অলি বিবি
সাং : সাবরাং উত্তর নয়া পাড়া টেকনাফ।
হাল সাং : সাহিত্যিকা পল্লী সিটি কলেজ রোড কক্সবাজার।