ক্রীড়া ডেস্ক:
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নুরে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে বাতিল করা হয়েছে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টটি। শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে হামলার সময় ঘটনাস্থলের খুব কাছে ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।

শনিবারের ম্যাচের আগে নিজেদের অনুশীলন শেষে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করতে মসজিদ আল নুরের উদ্দেশ্যেই যাচ্ছিলেন টাইগার ক্রিকেটাররা। মসজিদের কাছাকাছি পৌঁছতে অজ্ঞাত এক নারী হামলার ব্যাপারে সতর্ক করে দেন তামিম-মিরাজদের।

সে নারীর সতর্কবার্তা পেয়ে দ্রুতই অদূরবর্তী হাগলি ওভাল স্টেডিয়ামে ফেরত যায় বাংলাদেশ দলের সদস্যরা। প্রথম মাঠের ড্রেসিংরুমে এবং পরে টিম হোটেলে অবস্থান নেয় ভীতশ্রদ্ধ বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা।

চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এ ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ অভিজ্ঞতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার তামিম ইকবাল নিজের টুইটার একাউন্টে লিখেছেন, ‘পুরো দল গোলাগুলির হাত থেকে বেঁচে গেলো। খুবই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম টুইট করেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্‌! ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনা থেকে আল্লাহ্‌ আজ আমাদের বাঁচিয়ে দিলেন। আমরা অনেক বেশি ভাগ্যবান। কখনোই এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে চাই না। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

দলের ডাটা অ্যানালিস্ট শ্রিনিবাস তার টুইটার একাউন্টে লিখেছেন, ‘মাত্রই এক বন্দুকধারীর হাত থেকে রক্ষা পেলাম। এখনো শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হচ্ছে না। ভয় কাজ করছে সর্বত্র।’

দলের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ মারি ভিল্লাভারায়েন বলেন, ‘আমি ঘটনার পরপরই ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কিছু দেখেনি তবে গুলির আওয়াজ শুনে হাগলি পার্ক দিয়ে মাঠে ফিরে গেছে। কোচিং স্টাফের সবাই টিম হোটেলেই ছিলেন। খেলোয়াড়রা গোলাগুলির শব্দ শুনেই দৌড়ে নিরাপদ স্থানে গিয়েছেন।’