বিশেষ সংবাদদাতা :
এ কে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা সমাজ সেবক আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ একটি মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক
মামলা থেকে ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার আদালত থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেছেন। কারাগার থেকে মুক্তি লাভের পর তিনি বিভিন্ন স্থানে ব্যাপকভাবে সংবর্ধিত হয়েছেন।
রামু উপজেলার মিঠাছড়া ইউনিয়নের অন্ধকার এলাকা চাইল্যাতলী গ্রামে এ কে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে তিনি সেখানে আলোর মশাল জ্বালিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন।
আবুল কালাম আযাদ খেলাধুলার বয়সেরই একজন যুবক। এখন থেকে আরো ৫/৭ বছর আগে ২৬ বছর বয়সে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন একে আযাদ উচ্চবিদ্যালয়। রামুর মিঠাছরি ইউনিয়ন এর চাইল্যাতলীর অন্ধকার এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন এ কে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়। সৌদি প্রবাসের আয়েশি জীবন ছেড়ে দেশে এসে একে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন তিনি।
বিগত অর্ধশত বছরে রামুর মত ইউনিয়নে হাতেগোনা মাত্র দু একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতা ভেঙে যুবক আবুল কালাম আযাদ প্রতিষ্ঠা করেন একে আযাদ উচ্চবিদ্যালয়।
এ বিদ্যালয়টি এখানে অন্ধকারে যেন একটি আলোর মশাল। ঝরে পড়া শত শত ছাত্র-ছাত্রী এই বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে। এ বিদ্যালয়ের কারণে অসংখ্য শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠা থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।
এই বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজারের বরেণ্য শিক্ষাবিদ, জনপ্রতিনিধি, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা। এই বিদ্যালয় এবং বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এ কে আজাদের বিরুদ্ধে কারো কোন অভিযোগ নেই। তার বিরুদ্ধে কোনো সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভিযোগ তো নেই। অন্য কোনো অপকর্মের অভিযোগও নেই।
একটি কুচক্রী মহল তার এই সততা, সুনাম ও শিক্ষা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে। বিদ্যালয় এর জন্য কেনা জমি নিয়ে তার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ উত্থাপন করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ভুল বুঝিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করে। তাকে যেতে হয় কারাগারে।
এ কে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষানুরাগী একে আযাদের
অপরাধ আর কিছু নয়। শুধু শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা ও সমাজে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে শত শত ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার আলো বিতরণ তার অপরাধ।
এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা কালীন সময়ে যথেষ্ট শ্রম এবং সহযোগিতা দিয়ে এ বিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন তৎকালীন রামু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা। বর্তমানে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনরত জনাব সাইদুল হক। এছাড়াও এই প্রতিষ্ঠানে সংবর্ধিত হয়েছেন এ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন এবং সরেজমিনে এই প্রতিষ্ঠান হাজির হয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কক্সবাজার ও রামু’র সংসদীয় আসনের  সংসদ সদস্য জনাব সাইমুম সরোয়ার কমল।
কোন ধরনের অপরাধ ছাড়া অনেকটা বিনা কারণে চাইল্যাতলী উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক একে আজাদ কারাগারে থাকবেন এটা মেনে নেয়া যায়না।
এলাকার সচেতন মানুষ এবং এ কে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাও শত শত শিক্ষার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তিনি কারামুক্ত হন।
কারামুক্তির পর একে আযাদকে কারাগারের সামনে, একে আযাদ উচ্চবিদ্যালয়ে এবং পার্শ্ববর্তী পানেরছরা স্টেশনে তাঁকে সলবর্ধিত করা হয়।
মুক্তির পর কারাগারের সামনে তাকে শুভেচ্ছা জানান তাঁর স্বজনেরা। এসময় উপস্থিত ছিলে, সমাজ সেবক জহিরুল ইসলাম সিকদার, শিক্ষানুরাগী মুহাম্মদ শফি, খুরশেদ আলম, সহ সভাপতি নুরুল হাকিম, মন্জুর আলম বাহাদুর,মাস্টার সিরাজুল ইসলাম ও ওবায়দুল হক।

একে আযাদ উচ্চবিদ্যালয়ে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সংর্বধিত হন একে আযাদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রদান শিক্ষক আবুবকর ছিদ্দিক, শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, জয়সেন ধর, মনছুর আলম, ইদ্রিস ও মোক্তার আহমদসহ শিক্ষার্থীরা।

পানেরছরায় উপস্থিত ছিলেন, নুরুল ইসলাম, বশির আহমদ, আব্দুর রহমান, নুরুল হাকিম, কামাল উদ্দিন, সোহেল, আব্দুল মান্নান ও সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ স্থানীয় জনসাধারণ।

এসময় এ কে আজাদ বলেন, তিনি কোন অপরাধ করে কারাগারে যাননি। তিনি এ কে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য, এই প্রতিষ্ঠানের সম্পদ রক্ষার জন্য চেস্টা করেছেন।
একটি কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মিথ্যা মামলায় কারাগারে গেছেন। তিনি অতীত ও বর্তমানের মতো ভবিষ্যতেও এলাকার জনসাধারণ এবং জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সর্বস্তরের সবাইকে একে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।