– শামসুল আলম স্বপন 

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই ভোটের অপমৃত্যু হয়েছে সিইসির কল্যাণে । ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলেও ভোট চুরি হতো। তবে সেটা ছিল সহনীয় পর্যায়ে । কিন্তু গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট চুরি,ডাকাতি কিংবা ছিনতাই হয়নি রীতিমত ভোট কেন্দ্র দথল করে আগের রাতেই বাক্স ভরা হয়েছে। যে ভোটে পাশ করেও ইনু-মেননরা স্বীকার করেছেন তেমন সিইসিও এখন স্বীকার করছেন।

মজার ব্যাপার হলো আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু আজাদ মারা গেছেন প্রায় ৪ বছর আগে । সেও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরপার থেকে এসে ভোট দিয়ে গেছে ! ভাবী দু:খ করে বল্লেন কি এমন কষ্ট দিয়েছিলাম যে আমার স্বামী বাড়ির কাছের ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে গেল কিন্ত আমার সাথে দেখা করলো না!

মানুষের মাঝে আজ ভোটের কোন ইমেজ নেই । উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ভোটাদের মাঝে কোন আগ্রহ নেই । ইতোমধ্যে শতাধিক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। যারা ভোট প্রার্থনায় নেমেছেন তারা ভোটারদের কাছ থেকে আশাব্যঞ্জক সাড়া না পেয়ে এখন ভোট কাটার জন্য লেবার (মুনিশ / জন) ঠিক করছেন।

ডাকসু নির্বাচনের পর ভোট নিয়ে মানুষের মাঝে আর কোন কৌতুহল নেই। ভোটারদের একটিই কথা যেই ক্ষমতায় থাকুক তাতে কোন আপত্তি নেই শুধু দেশ ও মানুষের কল্যাণ করুক।

আমিও সেটায় বলি, ভোট গ্রহনের জন্য শত শত কোটি টাকা ব্যয় না করে সেই টাকা জনকল্যাণে ব্যয় করা হোক। আর যোগ্য ব্যক্তিদের সিলেকশনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করা হোক। ৫ বছরে একটি সরকার দেশের কোন কল্যাণ করতে পারে না । কমপক্ষে সরকারের মেয়াদ ২০ বছর করা দরকার !

আমরা গণতন্ত্রের যতই ধুয়ো তুলি না কেন আসলে গণতন্ত্র হলো প্রহসন তন্ত্র।
তাই কার্লমাক্স বলেছিলেন “ গণতন্ত্রের সংসদ হলো শুয়োরের খোঁয়াড় “। ইসলামও গনতন্ত্র বিশ্বাস করে না মানেও না ।

আমাদের মহানবী ( সা.) সব সময় যোগ্য ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন। ইসলামের প্রধান শত্রু খালেদ বিন ওয়ালিদ যুদ্ধ ক্ষেত্রে ইসলাম গ্রহন করার সাথে সাথে তাকে কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য সেনা প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ।

যে ভোটের অপমৃত্যু হয়েছে আসুন আমরা তাকে দাফন সম্পন্ন করি।