এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :
চকরিয়ায় চিংড়িঘের ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। এসময় পুলিশ ধৃত ডাকাতদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরি একটি (এলজি) বন্দুক, তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং ছগিরশাহ কাটা দক্ষিণ পাহাড়ের পশ্চিম পাশে মোড়াকাচা বাহার ঘোনা নামক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ধৃত ডাকাতরা হলেন, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী এলাকার ফরিদুল আলমের ছেলে সরোয়ার আলম (৩২) ও একই ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে মো.রমিজ উদ্দিন (৩২)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং ছগিরশাহ কাটা দক্ষিণ পাহাড়ের পশ্চিম পাশে জনৈক সাহাবুদ্দিনের মোড়াকাচা বাহার ঘোনা নামক এলাকায় বুধবার ভোর ৪টার দিকে ৪-৫জনের একদল ডাকাত চিংড়িঘের ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়। থানা পুলিশ চিংড়িঘের ডাকাতির প্রস্তুতির গোপন সংবাদ পেয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে মালুমঘাট ষ্টেশনে রাত্রিকালীন ডিউটিরত থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো.আতিকুর রহমান খান ও এ এস আই কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় একটি পুলিশদল ওই এলাকায় অভিযান চালায়।
এ সময় ডাকাতেরা পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদলের দুই সদস্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।ওই সময় পুলিশ ধৃত ডাকাতদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরি একটি (এলজি) বন্দুক, তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বুধবার ভোর রাতে ডুলাহাজারাস্থ রিংভং ছগিরশাহ কাটা এলাকায় চিংড়িঘের ডাকাতির প্রস্তুতির জন্য একদল ডাকাত জড়ো হয়। ডাকাতি প্রস্তুতি নেয়ার সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বেশ ক’জন ডাকাত পালিয়ে গেলেও তাদের পিছু ধাওয়া করে অস্ত্র ও গুলিসহ দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে পাঁচটি মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে ডাকাতি প্রস্ততি ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।