বিক্ষোভ করছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছবি-সংগৃহীত

যমুনা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নেতা নুরুল হক নুর নির্বাচিত হওয়ার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ৩:২০ এ ভিসি ফলাফল ঘোষণা করার পরই ভিসি কে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা ভিসি, প্রক্টরের উদ্দেশে উত্তেজনামূলক বক্তব্য দেয়।

তারপর রাত ৪ টা থেকেই তারা ভিসির বাসা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।

এসময় তারা প্রহসনের নির্বাচন মানি না মারব না, শিবিরের চামড়া তুলে নিব আমরা, সিন্ডিকেটের নির্বাচন মানি না, মানবো না, নুরুর পরিষদ মানি না মানবো না ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকে।

অন্যদিকে শোভন হেরে যাবার পরপরই তার হল মুহসীন হল থেকে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলির শব্দ শুনা যায়।

বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা এ পদে পুনরায় নির্বাচন ও নুরুর বহিষ্কার দাবি করে। তবে ভিসির বাসা ঘিরে ছাত্রলীগের এ অবস্থানকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত সতর্ক অবস্থায় আছে পুলিশ।

এর আগে ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে ভিপি নির্বাচিত হন নুর। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন পান ৯ হাজার ১২৯ ভোট।

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।

ডাকসু নির্বাচনের ২৫টি পদের একটি বাদে অন্যগুলোতে ছাত্রলীগের প্যানেলের প্রার্থীরাই জয়ী হয়েছেন। শুধু সমাজসেবা সম্পাদক পদে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আখতার হোসেন জয়ী হয়েছেন।

নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুসারে ডাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে ২২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ২১ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৪ এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৩ জন।

এছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৯ জন, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৯ জন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, সাহিত্য সম্পাদক পদে ৮ জন, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১২ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১১ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১০ জন ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৪ জন। এর বাইরে ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।