সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁওঃ

কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নে গোমাতলী সংযোগ ব্রীজের কয়েকটি পাটাতন ভেঙ্গে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যহৃত হচ্ছে। গত ১ মাস ধরে ওই ব্রীজটির কয়েকটি লোহার পাটাতন ভেঙ্গে পড়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এ অবস্থায় যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণ ও পরিবহন চালক-শ্রমিকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিভিন্ন সময় ঘটছে দুর্ঘটনা।
সোমবার (১১ মার্চ) সরেজমিন সড়কের ওই ব্রীজ এলাকায় গেলে দুর্ভোগের এমন চিত্র দেখা যায়।
দেখা গেলো, ব্রীজের একাধিক পাটাতন ভেঙ্গে যাওয়ায় অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে সিএনজি, অটোরিকশা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও ভ্যানগাড়ীর মতো ছোট ছোট যানাহন চলাচল করছে। এতে যেকেনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বৃহত্তর গোমাতলী থেকে ঈদগাঁও-কক্সবাজার যাতায়াতের জন্য এ সড়কটি ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়াও লবণ মৎস্য চাষীরা এ সড়কে বেশি চলাচল করে থাকে।
ঝুঁকি নিয়ে চলাচলকারী ইজিবাইক চালক শাহা আলম বলেন, এ রাস্তা দিয়ে লোকজন আনা নেয়া করে থাকি। বিকল্প রাস্তা না থাকায় পেটের দায়ে ঝুঁকি নিয়েই যাত্রী টানছি। ব্রীজের উপর দিয়া গেলে বুকটা কেঁপে উঠে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ব্রীজের পাটাতন ভাঙ্গা অংশে কোন প্রকার বিপজ্জনক সংকেত বা লাল নিশানা না থাকায় যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
তারা বলেন, রাতে ভাঙ্গা ব্রীজের আশপাশে বাতি বা আলোর ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই ব্রীজের ভাঙ্গা পাটাতনের ভেতর পড়ে যান।
এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত লবণ মাছ এ সড়কে পরিবহনে অবনর্ণীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, অসংখ্য যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়ী চলাচল করে থাকে।
জানতে চাইলে সদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী বলেন, ‘প্রতিবছরই ওই বেইলী ব্রীজের পাটাতন একবার করে ভেঙ্গে পড়ে। প্রতিবছরই মেরামত করা হয়।
এছাড়া যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে প্রাথমিকভাবে সংস্কার কাজ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে প্রতিদিন ছোটখাট দূর্ঘটনা ঘটলেও বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
এ সড়কে চলাচলরত সিএনজি ড্রাইভাররা জানান, গোমাতলী রাজঘাট সড়কের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। সড়কের পাশাপাশি স্ট্রীল ব্রীজ রয়েছে চরম ঝুঁকিতে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, প্রায় ১৫ কিলোমিটারের বেশি এলজিইডির এ সড়কটি দিয়ে লবণ ও চিংড়ি মাছ পরিবহন করা হয়। অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ এ সড়কের বেশ ক’টি ব্রীজের মধ্যে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে স্ট্রীল ব্রীজ।
তারা আরো জানান, শুষ্ক মৌসুমে ব্রীজ সংস্কারের কাজ করা না হলে লবণ মৌসুমের শেষের দিকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
সরেজমিন এলাকা ঘুরে এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর পূর্বে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সদর কক্সবাজার এ সড়কের গোমাতলী সংযোগ ব্রীজ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেন। এর পরপরই গোমাতলী রাজঘাট সড়ক সম্প্রসারণ কাজ হলে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে যান চলাচল বৃদ্ধি পায়। যানবাহন বৃদ্ধির সাথে সাথে এ সড়ক দিয়ে কোটি টাকার লবন ও চিংড়ি পরিবহন বাড়তে থাকে।
পোকখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার কলিম উল্লাহ জানান, গোমাতলী সংযোগ ব্রীজের পাটাতন ভেঙ্গে গেছে। চরম ঝুঁকিতে যানবাহন ও লোকজন চলাচল করছে।