এম.জুবাইদ, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যানিকেতন বারবাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান আগামি ৯ মার্চ। ইতিহাসের পাতায় এটায় প্রথম স্থান করে নিচ্ছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এত বড় পূর্তি উদযাপন করে। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কোন মহাবিদ্যালয়ে এ ধরণের আয়োজন হয়ে থাকে। কিন্তু এখন বারবাকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এত বড় পূর্তি অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। জাকজমকপূর্ণ এই অনুষ্ঠানের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী ও প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশেপাশে সাজ সাজ রব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিদ্যালয় ভবন, রাস্তাঘাট, বারবাকিয়া বাজার প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের বড় বড় ব্যানার, ফেস্টুন, গেইট দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। এসব ব্যানার, ফেস্টুন ইতোমধ্যে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। একটি মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় সবাই অধীর আগ্রহে আছেন। অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন জানান যে, বহুকাঙ্ক্ষিত এই অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের এলামনাই, শিক্ষক শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসীর মধ্যে এই অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। আমরা সকলেই উক্ত অনুষ্টান সফল করতে অত্র বিদ্যালয়ের এলামনাই এসোসিয়েশন দীর্ঘদিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে করছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই অনুষ্ঠান সফল ও স্বার্থক হবে।

প্রাক্তন ও বর্তমান প্রায় এক হাজার ছাত্রছাত্রী ইতোমধ্যে তাদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। সবার আগ্রহের কথা বিবেচনা করে শর্ত সাপেক্ষে এখনো রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন নি কিন্তু এখন করতে ইচ্ছুক তারা নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। সুযোগ সুবিধা (ম্যাগাজিন, টি-শার্ট, পেপার ক্যাপ, মগ, হাত ব্যাগ, খাওয়া-দাওয়া, সাংস্কৃতিক পর্ব উপভোগ) সবকিছু পাবেন। শুধুমাত্র ম্যাগাজিনে ছবি দেয়া সম্ভব হবে না।অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে র‍্যাফেল ড্র পর্ব। এই জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছ ৮০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার। তিন পর্বের অনুষ্ঠানমালার সব শেষে থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে দেশ বরেণ্য শিল্পীবৃন্দের গান পরিবেশনের পাশাপাশি থাকবে মন মাতানো পাহাড়ী নৃত্য। অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে সকাল ৮ টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালী, আলোচনা সভা, মেজবান, স্মৃতিচারণ, সম্মাননা প্রদান, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান।

ইতিপূর্বে এ বিদ্যালয় পড়ালেখার মান উপজেলার অন্যান্য বিদ্যালয়ের চেয়ে অনেকতম উন্নত বলে সুনাম কুড়িয়ে নিয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। পি এস সি পরীক্ষায় ভাল ফলাফলে প্রমাণ করেছে এ বিদ্যালয়ে আসলে পড়ালেখা ভালো ভাবে করানো হয়। এ বিদ্যালয়ের বৈশিষ্টগুলো অন্য রকম। শিক্ষকদের কে বিদ্যালয়ের জন্য আলাদা পোষাক এবং ছাত্রছাত্রীদেরকে ও আলাদা পোষাক নিধারণ করে দিয়েছে এস এম সি কমিটি। এ সব গুলো মিলে বিদ্যালয়টি প্রশংসার দাবীদার।

এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান মুরাদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন এটি প্রথম আয়োজন ৮০ বছর পূর্তি অনুষ্টান করতে যাচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।