ইমাম খাইর, সিবিএনঃ

কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মহিলা নেতৃত্বাধীন কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে।
স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নারী ও তরুণীদের জীবন দক্ষতা মূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে জাতিসংঘ ও তার অংশীদার গণউন্নয়ন কেন্দ্র পরিচালিত এই কমিউনিটি সেন্টার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়েছে।
উপলক্ষে সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে টেকনাফ উনছিপ্রাং ২২ নং ক্যাম্প এলাকায় অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপি’র) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডক্টর আশা টর্কেলসন বলেন, নারী ও কিশোরীদের ক্ষমতায়ন ও আত্মনির্ভরতার ওপর জোর দিয়ে কাজ করছে, যাতে স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদে তারা জীবনের মধ্যে কার্যকর পার্থক্য করতে পারে।
তিনি বলেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি দ্বারা বৃত্তিমূলক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রাথমিকভাবে সেলাই শিক্ষার উপর মনোযোগ দিচ্ছে। কিশোরী ও মহিলাদের স্বনির্ভরতা বৃদ্ধির জন্য ভবিষ্যতে প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ইউএনএফপিএ এর পূর্বেও কক্সবাজারে উইমেন ফ্রেন্ডলি স্পেস স্থাপন করেছে। নতুন স্থাপিত ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য থাকবে। নারী এবং মেয়েদের জন্য একচেটিয়া নিরাপদ স্থান হিসেবে কাজ করার সাথে সাথে ডব্লিউএলসিসির পরিষেবাগুলি পুরুষ এবং ছেলেদের জন্যও খোলা থাকবে।
আমাদের প্রত্যাশা হলো পুরুষ ও ছেলেরা যারা প্রশিক্ষণ এর সাথে জড়িত, তারা বাড়িতে এবং তাদের সম্প্রদায়গুলিতে মহিলাদের সমর্থন করবে।
ড. টর্কেলসন বলেন, পুরুষ ও ছেলেদের দক্ষতা, ক্ষমতা বিকাশ হলে নারী ও মেয়েদের জন্য একটি ভালো জীবনের ভারসাম্য তৈরি করতে সাহায্য করবে। লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা মতো বিষয়গুলোতে পুরুষ এবং ছেলেদের প্রশিক্ষণ দিলে তারা সংবেদনশিল হবে। যা লিঙ্গ সমতা বিষয়সূচি অগ্রসর করতে এবং নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড রেগান বলেন, নারী ও মেয়ে শিশুরা এমন দক্ষতা অর্জন করতে পারছে, যা তাদের অধিকাংশের কাছে কখনো পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না।
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খাদ্য অনিরাপত্তা হ্রাস করে তাদের নিজস্ব জীবিকা এবং আত্মনির্ভরতা তৈরি করার সুযোগ দিবে।
কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি আয়নুল কবির, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিস মিয়া সেপ্পো, ইউএনএফপিএ-এর জিবিভি বিশেষজ্ঞ ফাতেমা সুলতানা, গণউন্নয়ন কেন্দ্রের সমন্বয়কারী মোঃ রোকনুজ্জামান জিল্লুল্লাহ, কর্মসূচী সমন্বয়কারী মোঃ আবু দাউদ খান।
উল্লেখ্য, টেকনাফ ও উখিয়া স্থাপিত দশটি কমিউনিটি সেন্টারের মধ্যে ৭টি রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করবে। টেকনাফের সাবরাং, শামলাপুর ও উখিয়ার রত্নাপালং-এ ৩টি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য কাজ করবে। এই দশটি কেন্দ্র লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা সচেতনতা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য বিধি এবং সাক্ষরতাসহ মহিলাদের ক্ষমতায়ন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদান করবে। এছাড়া পয়োনিষ্কাশন, ছাগল পালন, হাঁস মুরগি পালন সবজি চাষ ইত্যাদি নিয়ে কাজ করবে বলে জানান গণউন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মসূচি সমন্বয়কারী মোঃ আবু দাউদ খান।