বিশেষ প্রতিবেদক:

কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া এলাকায় বাঁকখালী নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ বালি উতোলণের পর পাচারের সময় ড্রেজার মেশিন ও ডাম্পার (মিনি ট্রাক ) জব্দ করেছে। পরে ড্রেজার দুটি নষ্ট করে দেয়া হয় এবং ট্রাক মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম মাহফুজুর রহমান এর নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টীম বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ অভিযান চালায়।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বেশ কয়েকটি চক্র বাঁকখালী নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলণ করে আসছে। উত্তোলিত বালি ট্রাক ও ডাম্পার যোগে বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছিল চক্র গুলো। গত এক বছর ধরে ওই বালি খেলো চক্র কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া পূর্ব মোক্তারকুল এলাকার পয়েন্টে বাঁকখালী নদীতে দুটি ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলণ করে আসছে। উত্তোলিত বালিগুলো ট্রাক ও ডাম্পার (মিনি ট্রাক) যোগে পাচারের সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজারের অর্থায়নে নির্মাণাধীন পূর্ব মোক্তারকুল হতে হয়রত আলা উদ্দিন শাহ মাজার গেইট পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৬৩ ফুট সড়কের প্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়।

বুধবার( ২৭ ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএইচএম মাহফুজুর রহমান এর নেতৃত্বে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টীম খরুলিয়া পূর্ব মোক্তারকুল বাঁকখালী নদীর পয়েন্টে বিকাল ৪টার দিকে যৌথ অভিযান চালান। এসময় জব্দ করা হয় বালি উত্তোলণের দুটি ড্রেজার মেশিন ও দুটি ডাম্পার (মিনি ট্রাক)। যার একটিতে চট্টমেট্টো-অ-৬২২, অপরটি নাম্বার বিহীন।

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএইচএম মাহফুজুর রহমান বলেন, জব্দকৃত ২টি ড্রেজার মেশিন নষ্ট করে দেয়া হয়েছে, ডাম্পার মালিক মো. আমিনকে একলাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ডাম্পার দুটি ঝিলংজা ইউপি মেম্বার (প্যানেল চেয়ারম্যান ৭ নং ওয়ার্ড ) আলহাজ্ব সলিমুল হকের জিম্মায় দেন।

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. কামরুল হাসান বলেন, বাঁকখালী নদীতে পরিবেশ বিধংসী কাজের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। ঝিলংজা ইউপির ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার নাছির উদ্দিন বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজারের ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে (কার্পেট শ্রিকুট) নির্মাণাধীন পূর্ব মোক্তারকুল হতে হয়রত আলা উদ্দিন শাহ মাজার গেইট পর্যন্ত প্রায় ৬৬৩ ফুট সড়কের কাজ চলছে। কাজটি বাস্তবায়ন করছে তামান্না ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। নির্মাণাধীন এই সড়ক দিয়ে বালিভর্তি মিনিট্রাক, ডাম্পার চলাচল করায় সড়কটি প্রয়াই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নির্মাণাধীন সড়কদিয়ে অবৈধ বালি পাচার কালে গাড়ি ও ড্রেজার মেশিন জব্দ এবং আর্থিক জরিমানা করায় ইউএনও এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে সাধুবাদ জানান তিনি সহ স্থানীয় লোকজন।

এলাকাবাসী ও পরিবেশ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি ) পঙ্কজ বড়ুয়ার নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর গত ২০১৮ সালে একই স্থানে অভিযান চালিয়ে আমিনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল।