শাহেদ মিজান, সিবিএন:

হঠাৎ বয়ে যাওয়া প্রচন্ড ঝড়ে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বৃষ্টিতে ভেসে গিয়ে লবণ এবং ঝড়ের তান্ডবে বিধ্বস্ত হয়েছে বিপুল পানবরজ। জেলার কুতুবদিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, টেকনাফ এবং কক্সবাজারের সদরের পোকখালী, চৌফলদন্ডী বৃষ্টিতে ভেসে গেছে বিপুল পরিমাণ লবণ। অন্যদিকে মহেশখালীতে ঝড়ের তান্ডবে বিধ্বস্ত হয়েছে বিপুল পরিমারণ পানের বরজ। বজ্রপাতে মহেশখালীর হোয়ানকে মারা গেছে এক কিশোর। ঝড়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতি হয়েছে।

আজ সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে হঠাৎ নেমে আসে ঝড়। ঝড়ের  প্রচন্ড বাতাসের সাথে তুমুল বৃষ্টি নেমে আসে। হঠাৎ বৃষ্টি নেমে আসায় জেলার কুতুবদিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, টেকনাফ এবং কক্সবাজারের সদরের পোকখালী, চৌফলদন্ডীর মাঠে থাকা লবণ নিমিষেই ভেসে গেছে। অন্তত পাঁচ কোটি টাকার লবণ ভেসে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন।

অন্যদিকে প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায় মহেশখালীতে পাহাড়ি ও বিলের বিপুল পরিমাণ পানের বরজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য পানবরজগুলো নানাভাবে ক্ষতি হয়েছে। একে কোটি টাকা বেশি হয়েছে বলে ধারণা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ঝড়-বৃষ্টির সাথে হওয়া বজ্রপাতে মহেশখালীর হোয়ানকে এক কিশোর নিহত হয়েছে।

কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম নূরুল বশর চৌধুরী জানান, আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকায় মাঠে ছিলো লবণ আর লবণ। কিন্তু আকস্মিক বৃষ্টি হওয়ায় কুতুবদিয়ার সব মাঠের লবণ ভেসে গেছে। হঠাৎ বৃষ্টি নেমে আসায় অনেকে চেষ্টা করেও লবণগুলো গোছাতে পারেনি। এছাড়াও ঝড়ে ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতি হয়েছে।

মহেশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হোছাইন ইব্রাহিম জানান, বর্তমানে মহেশখালীতে পাহাড়ি ও বিলের পানবরজের ভর মৌসুম। তাই পানের সর্বোচ্চ ফলন ও দামও অনেক বেশি রয়েছে। কালবৈশাখীর দিন এখনো আসায় পানবরজগুলো এখনো মেরামত করা হয়নি। আরো কিছুদিন পর মেরামত করা হতো। কিন্তু কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই আকস্মিক কালবৈশাখীর মতো ঝড় হওয়ায় মহেশখালীতে প্রায় এলাকায় অনেক পানের বরজ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। একইভাবে বিধ্বস্ত না হলেও অন্যান্য বরজেরও নানাভাবে ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ঝড়-বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতও হয়। বজ্রপাতে মহেশখালীর হোয়ানকে  নিহত হয়েছে এক কিশোর।  এছাড়াও ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতি হয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, আকস্মিক ঝড়, বৃষ্টি ও বজ্রপাতে জেলাজুড়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয় করা যায়নি। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিস্তারিত খোঁজ নেয়া হবে।