শাহীন মাহমুদ রাসেল:
পর্যটন কেন্দ্রে ট্যুরিস্টদের ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনা গোটা পৃথিবীতে পরিবেশপ্রেমীদের কাছে চক্ষুশূল। এ নিয়ে বহু প্রচার, সচেতনতা অনুষ্ঠান হলেও পাহাড়ের চূড়াই হোক কিংবা নীল সমুদ্রের ধারের বিচ পর্যটকেরা অনেকেই সে সব অপরিষ্কার করে রেখে যান।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন জেলা পরিষদ বীচ পার্কে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এভাবে পার্কের ভেতরে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে ফুলগাছসহ বিভিন্ন ধরণের ফল ফলাদির গাছ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশিও নষ্ট হচ্ছে। পার্ক সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের শত শত ঝিনুক মার্কেটর দোকানদার এসব ময়লা ফেলছে বলে জানা গেছে।

এ ময়লা-আর্বজনার স্তুপের কারণে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য হারাচ্ছে। পাশাপাশি সমুদ্র সৈকতের আশপাশে দূর্গন্ধযুক্ত হচ্ছে। পর্যটন নগরী সৈকতের পাশে এ ধরনের ময়লার স্তুপে চরম বিপাকে পড়তে হয় স্থানীয় ও পর্যটকদের। অল্প বাতাশে আবর্জনার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছ সবদিকে। এতে এলাকায় যেমন মশার উপদ্রব বাড়ছে তেমনি দ‍ূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

সরেজমিনে দেখা যায়, এমন একটি সুন্দর ঝাউবাগানের ভেতরে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একের পর ময়লা ফেলা হচ্ছে। আর নিত্যদিন এসব ময়লা ফেলছে পর্যটকরা ও প্রভাবশালী আশপাশের দোকানদারের মালিক ও কর্মচারীরা। বীচ পার্কে দায়িত্বরত মো. সালামতের কাছে এসব ময়লা আর্বজনা স্তুপের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব ময়লা আবর্জনা ফেলছে দক্ষিণ পাশের ঝিঁনুক মার্কেটসহ বিভিন্ন দোকাদারের মালিক ও কর্মচারীরা। এখানে ময়লা না ফেলার জন্য বাধা দিলে তারা আমার সাথে অনেকবার ঝগড়া দিয়েছে। আরও বলেন, এখানে ময়লা ফেললে কে বাধা দিচ্ছে বলে আমাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধমকি দিয়ে থাকে। তখন আমি নিরুপায় হয়ে আর কিছু বলছি না। পাশাপাশি পার্কের তেমন রক্ষনা-বেক্ষণ না থাকায় ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে পার্কের।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আশপাশের দোকাদার প্রতিদিন জমে থাকা ময়লা- আবর্জনা ফেলানো হচ্ছে বীচ পার্কের ভেতরে। এমন একটি সৌন্দর্য বীচ পার্কে ময়লার স্তুপ জমে রয়েছে। প্রতিনিয়ত যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে বীচ পার্কের পাশ দিয়ে চলাচল করতে নানা সমস্যা হচ্ছে। দুর্গন্ধে রাস্তায় হাঁটা যায় না। গাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হলেও নাক-মুখ চেপে রাখতে হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কয়েকমাস ধরেই আশপাশের দোকানদারসহ সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনাগুলো পার্কের ভেতরে ফেলা হচ্ছিল। বছরকানিক আর্গে বীচ পার্কের ভেতর ময়লা আর্বজনা ফেলার কারণে পাশের বেশ কয়েকজন দোকানের স্বত্বাধিকারীকে ৫ হাজার টাকা জরিমান করেছিলো। এরপরেও আশেপাশের দোকানের স্বত্বাধিকারী ও কর্মচারীরা ফের যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলছে।