ডেস্ক নিউ্জ:
বাংলাদেশ বিমানের দুবাইগামী ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজটি (বিজি-১৪৭) ছিনাইয়ের চেষ্টাকারী ব্যক্তি মারা গেছেন। প্রথমে তাকে আহত অবস্থায় বিমানটির ভেতর থেকে আটক করে বাইরে নিয়ে আসা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই মারা যান তিনি।

রোববার রাতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, কমান্ডো অপারেশনে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী নিহত হয়েছেন। প্রথমে তাকে আহত অবস্থায় আটক করা হলেও পরবর্তীতে তিনি মারা যান।

এর আগে বিমানের ভেতরে থাকা কেবিন ক্রু কে উদ্ধার ও হাইজ্যাককারীকে গ্রেফতারে বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশ করে সেনাবাহিনীর কমান্ডো ইউনিট ও পুলিশের সোয়াত টিম। এছাড়া যেকোনো দুর্ঘটনা রোধে ফায়ারসার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের চারটি ইউনিটের ১১টি গাড়ি ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয় বলে জাগো নিউজকে জানান চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক জসিম উদ্দিন।

এদিকে ওই ঘটনার পর থেকে শাহ আমানতে বিমান ওঠানামাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বিমানবন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ বিমানের দুবাইগামী ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজটি (বিজি-১৪৭) ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। বেলা সাড়ে ৩টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম আসার পথেই এক ছিনতাইকারী পিস্তল হাতে বিমানের ককপিটে প্রবেশের চেষ্টা করে। পাইলট ও কেবিন ক্রুরা বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি জরুরিভাবে শাহ আমানতে অবতরণ করান।

দুবাইগামী ফ্লাইট ময়ূরপঙ্খীতে যাত্রী হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদল। তিনি সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভেতরে একজন হাইজ্যাকার আছে। তিনি বাঙালি। হাইজ্যাকার শুরুতে ককপিটে প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু পাইলট কৌশলে তা হতে না দিয়ে বিমানের জরুরি অবতরণ করেন।’