প্রেমিকা চোর

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০৩:১৯

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


(রম্যগল্প)
সৌরভ শর্মা

লতার সাথে ফেইসবুকে পরিচয় মুন্নার । তারপর বন্ধুত্ব,তারপর প্রেম।

সারাদিন দুজনের চ্যাটিং করে ভালই সময় কাটে।

সারাদিন চ্যাটিং করে মুন্নার এতই উন্নতি হয়েছে,

সে পরীক্ষার খাতায় ম্যাসেঞ্জারের মত সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করা শুরু করে।

ফল যা হবার তাই হল।

এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি তে গোল্ডেন A+ প্রাপ্ত ছাত্র অনার্স ১ম বর্ষে দুই বিষয়ে ফেল।।

সন্ধ্যাবেলা।  বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছে।

বারান্দার এক কোণে বসে মুন্না ভাবছে, যার জন্যে ফেল করলাম তাকে অন্তত একবার স্বচক্ষে দেখা উচিত।

সেদিন রাতে লতার সাথে কথা হলো, আগামীকাল তারা দেখা করবে।

বীচে দুজনের দেখা হলো।

মুন্নার খুশিতে মরে যেতে ইচ্ছে করছে।

এতো সুন্দরী মেয়ের জন্য সে দুইটা কেন লাখ লাখ সাবজেক্ট ফেল করতে পারে।কিন্তু দুভার্গ্য লাখ লাখ সাবজেক্ট ভার্সিটিতে নাই।

এরপর থেকে তারা প্রায় দেখা করে।  মুন্নার সব বন্ধুই তাদের প্রেম সম্পর্কে জানে।

রায়হান ও মুন্নার বন্ধু। সে ও খুব ভালো ছাত্র এবং ভালো বক্তা।

একদিন রায়হান মুন্নাকে ডেকে নিয়ে প্রেম না করে ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করার জন্য অনেক মোটিভেশনাল স্পিচ দেয়।
মুন্নার খুব মনে ধরে কথা গুলো।

সাধের প্রেমিকার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

বর্তমানে মুন্না একজন বিসিএস ক্যাডার।মাথার উপর বিশাল স্টেডিয়াম হয়েছে। বয়স ও হয়েছে।
অনেক মেয়ে দেখা হয়েছে বেশিরভাগই তাকে রিজেক্ট করেছে।

সেদিন ট্রেন থেকে নামতেই ষ্টেশনে রায়হানের সাথে দেখা। সাথে তিনটি বাচ্চা আর একজন বোরকাওয়ালা মহিলা।
মুন্নাকে দেখেই পালানোর চেষ্টা করল রায়হান।

“কি বন্ধু? ‘আমি বউ পাচ্ছিনা আর তুই বাচ্চা নিয়ে ঘুরিস।

ভাবীর চেহারাটা তো অন্তত দেখাতে বল।”
আজ না দোস্ত,আরেকদিন।
এক্ষুণি দেখব।
আচ্ছা দেখ।
বোরকা উপরে তুলতেই নিস্তব্ধ মুন্না। এতো তার প্রেমিকা “লতা”।
শালা তুই আমাকে ক্যারিয়ার করার কথা বলে শেষ পর্যন্ত আমার প্রেমিকাটা চুরি করলি।

ততক্ষণে রায়হান ট্রেনে।

ট্রেন থেকে রায়হান চিৎকার করে বলতে লাগলো”মাফ করিস বন্ধু,

চুরি করার অভ্যাসটা আমার ছোটবেলা থেকে “।

সৌরভ শর্মা ,কক্সবাজার