শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, সদর

কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ের গ্রাম-গঞ্জসহ বাজারেও শিশু কিশোররা চালাচ্ছে চার্জের অটো রিক্সা-টমটম। বাই সাইকেল বা খেলনা গাড়ী চালানোর অভিজ্ঞতা না থাকলেও তারা হাতে নিয়েছে ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা-টমটম।যার ফলে তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা জীবন হয়ে পড়েছে অবহেলিত,ঝড়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে।তেমনি চালক হিসেবে তারা চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে জীবনাতিপাত করছে। এতে অনভিজ্ঞ এসব চালকের রিক্সা-টমটম ও অটোর যাত্রীরাও পড়ছে চরম ঝুঁকিতে।
গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাটে অনবরত এসব অল্পবয়স্ক শিশু চালকদের দেখা যায় বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালাতে। এর পাশাপাশি ঈদগাঁওয়ের জনবহুল ও যানবাহনে ভরপুর ঈদগাঁও বাজারের ব্যস্ততম রাস্তায়ও দেখা মেলে অপরিপক্ক এসব চালককে। এমনকি মহাসড়কেও এই শিশু কিশোর চালকরা আশঙ্কাজনক গতিতে চালাচ্ছে যানবাহন।
অনেক শিশুকিশোর এসব ব্যাটারী চালিত যান বাহন চালিয়ে নিজের খরচ নির্বাহ করার সাথে পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করে চলেছে। এমনি একজন শিশু হলো- উপজেলার ঈদগাঁওয়ের হৃদয় (১৩)(ছদ্মনাম)
তার বাবাও এক সময় সিএনজি চালক ছিল। তার বাড়িতে দুইটি অটোরিকশা রয়েছে। এর একটি মাঝে মাঝে সে চালায়। এতে আয় হওয়ায় এক পর্যায়ে সে নিয়মিত চালক হিসেবে অটোরিকশা নিয়ে রাস্তায় ব্যস্ত সময় পার করছে।পিতা মাতার ঔরসে শুধু এক সন্তান হৃদয়। কয়েক বছর অটো রিচালক হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিত।
ঝুঁকিপূর্ণ এ পেশা থেকে শিশু কিশোরদের নিবৃত্ত করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল। না হলে এদের দেখে আরও শিশু কিশোর এ পেশায় ঝুঁকে পড়লে পরিস্থিতি আর বেশি আশঙ্কাজনক হয়ে পড়বে।এ বিষয়ে ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছৈয়দ আলম বলেন,ইতিপূর্বে এসমস্ত শিশু চালকদের ধৃত করে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ফের সড়কে নেমে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছি।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে পুনরায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।