বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবিরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মোহাম্মদ হামিদ ওরফে ডাক্তার হামিদ (৪১) নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে নয়াপাড়া শিবিরের শালবাগান ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। হামিদ নয়াপাড়ার শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরের মোহাম্মদ হোছনের ছেলে। রোহিঙ্গা শিবিরে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গাদের অস্ত্রধারী একটি দল হামিদকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের কাছে নিয়ে যায়। পরে তাকে গুলি করে পাহাড়ের পাশে রেখে চলে যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজারে মর্গে পাঠায়।
ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা সকালে ( ২২ ফেব্রুয়ারি) র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত নুরুল আলমের অনুসারী। সহযোগীর মৃত্যুতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আব্দুস সালাম জানান, গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে পাহাড়ি এলাকা থেকে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।