ফারুক আহমদ, উখিয়া:

উখিয়ার মরিচ্যাস্থ গুরামিয়া চৌধুরী গ্যারেজ নামক স্থানে একটি প্রতিষ্ঠিত নার্সারী ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বাধা দেওয়ায় দুর্বত্তদের হামলায় মহিলা উদ্যোক্ততা রহিমা বেগম সহ ৩ জন আহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকালে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীদের ন্যাক্কারজনক এ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা যায়, ভূমিহীন নারী উন্নয়ন সংগঠনের সভানেত্রী রহিমা বেগম সরকারি ভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের গুরামিয়া গ্যারেজস্থ ১৬ শতক জায়গার উপর শাপলা নার্সারী প্রতিষ্ঠা করে। বিগত ১৫ বছর কঠোর শ্রম ও সাধনার মাধ্যমে তিল তিল করে এ নার্সারীতে ফলজ, ঔষুধী, বনজসহ ফুলের বিভিন্ন প্রজাতির চারা উৎপাদন করে বাজারজাত করে আসছে।

অভিযোগে প্রকাশ, একই এলাকার প্রভাবশালী মৃত আব্দুল হাকিমের পুত্র মোঃ ইউসুফ পাশর্^বর্তী সরকারি পাহাড় কেটে বাসা তৈরি করে রোহিঙ্গাদেরকে বাড়ী ভাড়া দেয়। বাসায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ব্যবহারকৃত খোলা পায়খানার মলমুত্র ও দুর্গন্ধ পানি নার্সারীর অভ্যন্তরে প্রবাহিত করে।

নার্সারীর মালিক রহিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, খোলা পায়খানার দুর্গন্ধযুক্ত মলমুত্রের পানি প্রবাহিত ও পরিবেশ দূষন হয়ে নার্সারীর অসংখ্য চারা পরিবেশ দুষণ হয়ে মারা যায়। এ বিষয়ে বারংবার বাঁধা দিলেও তারা কর্নপাত করেনি। পরিবেশ দূষনের কারণে প্রায় ৭০ হাজার টাকার মত বিভিন্ন প্রজাতির চারা ও মালামাল ক্ষতিসাধন হয়েছে।

এ দিকে গত বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনার জের ধরে পরিবেশ ধ্বংসনকারী মো: ইউসুফের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দা, লাঠি ও দারালো কিরিস নিয়ে শাপলা নার্সারীতে হামলা, সীমানা পিলার ভাংচুর ও চারা নষ্টের অপচেষ্টা চালায়। এসময় বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীদের হামলায় রহিমা বেগম (৪৫), ছেলে মোঃ আলম হৃদয় (২৫) ও রেজাউল করিম মানিক (২২) আহত হয়।

এ ব্যাপারে রহিমা বেগম বাদী হয়ে মোঃ ইউসুফ, আব্দু ছুবহান ও আরিফকে আসামী করে উখিয়া থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। হামলার শিকার মো: আলম হৃদয় অভিযোগ করে বলেন, সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য প্রাণ নাশের হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি গত ১২ ডিসেম্বর অনুরূপ ঘটনায় তার মা রহিমা বেগমের উপর হামলার ও শীলতাহানির ঘটনা সংঘটিত করেছে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।